ভোটের মুখে এবার কলকাতা পুর-এলাকার সংগঠন গোছানোর কাজে হাত দিলো তৃণমূল৷ সদ্য প্রাক্তন কাউন্সিলরদের এবার সংগঠনের কাজে লাগাতে চলেছে তৃণমূল৷
সূত্রের খবর, শেষমুহুর্তে পরিকল্পনায় রদবদল না হলে কলকাতায় তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে প্রাক্তন কাউন্সিলরদের। জানা গিয়েছে, ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের এই পরামর্শেই সিলমোহর পড়েছে দলের শীর্ষস্তরের৷
একুশের নির্বাচন তৃণমূলের কাছে তুলনায় কিছুটা কঠিন৷ প্রবলভাবে উঠে এসেছে বিজেপি৷ এই পরিস্থিতিতে কলকাতার ওয়ার্ডগুলিতে নতুন কাউকে সভাপতি পদে আনা হলে, কিছুক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ ওদিকে, ওয়ার্ডে পরিচিত মুখ প্রাক্তন কাউন্সিলররা৷ কাউন্সিলরদের বদলে সভাপতি পদে নতুন মুখ আনা হলে প্রাক্তন হয়ে যাওয়া কাউন্সিলররাও ক্ষুব্ধ হতে পারেন৷ তাই কলকাতার প্রাক্তন কাউন্সিলরদেরই ওয়ার্ড- সভাপতি করছে তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তাঁরাই নিজেদের ওয়ার্ডে ভোট পরিচালনা করবেন। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুর এলাকায় ১৪৪টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২৫টি ছিল তৃণমূলের দখলে। যে সব ওয়ার্ডে তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিলেন না, সেখানে সহমতের ভিত্তিতে ওয়ার্ড-সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হবে স্থানীয় পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির দলীয় নেতাকে৷
মহামারি পরিস্থিতি সৃষ্টি নাহলে এতদিনে কলকাতা পুরভোট হয়ে যেত৷ কাউন্সিলরদের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অনেক ওয়ার্ডে রটনা হয়, বিদায়ী কাউন্সিলর এবার আর টিকিট পাচ্ছেন না৷ বিকল্প নাম ভেসে ওঠে৷ বেশকিছু ওয়ার্ডে দলের একাধিক গোষ্ঠী স্বাধীনভাবে কাজ শুরু করে দেয়। এসবের ফলে সাংগঠনিক কাজে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে।
বিধানসভা ভোটের মুখে এসব ঝুঁকি নিতে নারাজ দল৷ সেকারনেই প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে কলকাতায় বিদায়ী কাউন্সিলরদেরই ওয়ার্ড সভাপতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষমহল৷
































































































































