মানুষকে পাশে নিয়ে বিধানসভায় বুথে বুথে কর্মীদের লিড বাড়ানোর নির্দেশ অনুব্রতর

0
1

একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই ময়দানে নেমে পড়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে জেলায় জেলায়, বুথে বুথে সংগঠনকে ঢেকে সাজাচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তৈরি হচ্ছে রণকৌশলও। যে জায়গাগুলোতে ফাঁকফোঁকর আছে অথবা যে এলাকাগুলো দুর্বল, তা মেরামতির কাজ চলছে। সংগঠনকে আরও মজবুত ও শক্তিশালী করতে যেমন বিজেপি ও বিরোধী শিবিরের প্রতি মোহভঙ্গ হওয়া নেতা-কর্মীদের দলে যোগদান করানো হচ্ছে, একইভাবে পুরনোদিনের কর্মীদের সম্মানের সঙ্গে দলে সক্রিয় করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে শাসক শিবির।

তারই অঙ্গ হিসেবে বুথভিত্তিক কর্মী সম্মেলন করলেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। এ দিন পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে বুথ ভিত্তিক কর্মিসভা করেন অনুব্রত। সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মৎসমন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল, বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার, ব্লক সভাপতি শেখ সালেক রহমান-সহ অন্যান্য।

সভা শুরুতেই অনুব্রত মণ্ডলের কাছে কর্মী-সমর্থকরা অভাব-অভিযোগ জানান। সরকারি প্রকল্পগুলির মধ্যে কোথাও দীর্ঘদিন ধরে সরকারি আবাস যোজনার বাড়ির অনুদান আটকে তো কোথাও গ্রামবাসীদের জবকার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে অভিযোগ। এ ধরনের অভিযোগ আসা মাত্রই সাধারণ মানুষের পাশে থাকার জন্য কর্মীদের কড়া নির্দেশ দেন অনুব্রত মণ্ডল। পাশপাশি তিনি কর্মীদের বার্তা দিয়ে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনদরদী উন্নয়নের দিকগুলি সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরে বিধানসভা ভোটে লিড বাড়াতে হবে। যারা এখনও বিজেপি বা সিপিএমের প্রতি ঝুঁকে রয়েছেন তাঁদের ভুল ভাঙিয়ে এবং বুঝিয়ে দলে আনতে হবে।”

বেরেণ্ডা অঞ্চলের বেলুটি গ্রামে একটি বুথে গত লোকসভা ভোটে দলের পরাজয়ের কারণ জানতে চান অনুব্রত। স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে জানান, সরকারি আবাস যোজনার অনুদান আটকে রয়েছে। অনেক মানুষের জবকার্ড বাতিল হয়েছে। এমন অভিযোগ শোনা মাত্রই স্থানীয় বিধায়ক ও দলের ব্লক সভাপতির কাছে কৈফিয়ত তলব করেন অনুব্রত। সেখান থেকেই আউশগ্রাম-১ বিডিও চিত্তজিৎ বসুকে ফোন করেন। এরপর বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডারকে বিডিও’র সঙ্গে দেখা করে দ্রুত সমস্যা সমাধানের নির্দেশ দেন।

অন্যদিকে, আদিবাসীদের মন পেতে সভামঞ্চ থেকে অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিকে অনুব্রতর নির্দেশ, জনসংযোগ বাড়াতে হবে। ঘনঘন মানুষের বাড়ি গিয়ে তাঁদের সমস্যার কথা শুনতে হবে। এবং দ্রুত সমাধান করতে হবে। কাজ করতে কোনও সমস্যা হলে সরাসরি তাঁকে ফোন করার কথাও নিচুতলার কর্মীদের বলেন অনুব্রত।

এই সভায় বিরোধী দল থেকে বেশকিছু কর্মী অনুব্রত মন্ডলের হাতধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পাশাপাশি, কোভিড যোদ্ধা পুলিশকে হুমকি দেওয়া ও অপমান করার জন্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষকে অশিক্ষিত বলে কটাক্ষও করেন অনুব্রত।

আরও পড়ুন- কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ‘জাতীয় বাংলা সম্মেলন’-এর মশাল মিছিল