অনুরোধে ঢেঁকি গেলা !
তার ঠেলায় আরেক জটিলতা।
বড় মহলের অনুরোধে শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গলে লগ্নি করছে বটে, কিন্তু নতুন কোম্পানি থেকে ক্লাবের নামটাই বাদ দিয়েছে। তার বদলে নাম শ্রী সিমেন্ট ফাউণ্ডেশন। এর অধীনে থাকবে ইস্টবেঙ্গল।
কেন এমন হল?
সূত্র জানাচ্ছে, শ্রী সিমেন্ট আদৌ আগ্রহী ছিল না এইধরণের খরচে।
অনুরোধে ঢেঁকি গিলতে হবে বুঝে তারা CSR বা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির অধীন সমাজসেবামূলক দানখয়রাতির খাতায় এই খরচকে ধরছে। সেই কারণেই ফাউণ্ডেশন করা হয়েছে। গত 5/9/2020 এটি নথিভুক্ত হয়েছে। ঠিকানা রাজস্থান।
এদিকে এনিয়ে ইস্টবেঙ্গল পড়েছে বিপাকে।
একে লাইসেন্সিং সমস্যা, তারপর ক্লাবের নাম ঠিকানা।
ইস্টবেঙ্গল চায় নাম হোক শ্রী সিমেন্ট ইস্টবেঙ্গল লিমিটেড। এদিকে 85% বিক্রির কথা দেওয়াও হয়ে গিয়েছে।
এই অবস্থায় ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস দুপক্ষকে নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক ডেকেছিলেন। সর্বশেষ খবর সেটি বাতিল হচ্ছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এই জট খোলার নয়।
ইস্টবেঙ্গলের আশা যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী এতটা করে দিয়েছেন, এবার বাকিটাও তিনিই সামলে দেবেন। শ্রী সিমেন্ট নরম হয়ে সবটা বদলাতে রাজি হবে।
এদিকে বোর্ডের ডিরেক্টর নিয়েও জট খোলেনি। ইস্টবেঙ্গল চায় দেবব্রত সরকার আর সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতে। কিন্তু খবর হল শ্রী সিমেন্ট চায় ক্লাবের সভাপতি এবং সচিব আসুন। এনিয়েও জটিলতা কাটছে না।
এই অবস্থায় লাইসেন্সিং সমস্যাও আছে। লাইসেন্স ইস্টবেঙ্গলের নামে। এদিকে নতুন লগ্নিকারীর কোম্পানিকে নিতে হবে। ওদিকে নবীকরণের দিন শেষ। তাহলে হয় এএফসিকে নবীকরণের দিন বাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলকে সুযোগ দিতে হবে। অথবা আম্বানিদের বলতে হবে তাদের আইএসএল খেলতে কারুর লাইসেন্স লাগবে না। এই জট খোলার চেষ্টাও চলছে।
ইস্টবেঙ্গলের ভরসা এবারও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারা ভাবছে এতটা এগোনর পর বাকিটাও মুখ্যমন্ত্রীই করে দেবেন। মঙ্গলবার আবার এনিয়ে তৎপরতা শুরু হবে।
আরও পড়ুন : ইস্টবেঙ্গল নাম নেই, ঠিকানাও রাজস্থানের !!!


































































































































