দরজা খুললেন, আর দেখলেন ডেলভারি বয় পছন্দের সুশি নিয়ে দাঁড়িয়ে। যে সে ডেলিভারি বয় নয়। মাচো চেহারা। হ্যান্ডসাম। কেমন লাগবে আপনার?
রয়েছে আরও চমক। ডেলিভারি বয়রা প্রত্যেকেই বডি বিল্ডার। তাই আপনার ঘরের দোরগোড়ায় এসে তাঁরা জামা খুলে দৈহিক সৌষ্ঠব দেখাবেন। যেমনটা কোনও অনুষ্ঠানে একজন বডি বিল্ডার দেখান।সেই মাসল, দেহের গড়ন দেখে অবাক হবেন আপনিও।
করোনা পরিস্থিতিতে বিকল্প আয় খোঁজার পথ বের করতে গিয়ে ‘ডেলিভারি মাচো’ পরিষেবা চালু করলেন জাপানের শেফ মাসোনরি সুগিওরা। ৪১ বছরের ওই ব্যক্তি নিজে বডি বিল্ডার।একটি সুশি রেস্তোরাঁর মালিকও তিনি। করোনা পরিস্থিতি বিশ্বজুড়েই রুজি রুটিতে টান। রেস্তোরাঁ, হোম ডেলিভারি ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।
আরও পড়ুন : জাল প্রেসক্রিপশনে ভুল ওষুধ দিয়েছে সুশান্তের দিদি প্রিয়াঙ্কা! বিস্ফোরক অভিযোগ দায়ের রিয়ার
ব্যবসা বাঁচাতে নতুন আইডিয়া দরকার বুঝেছিলেন মাসোনেরি। এদিকে তাঁর সুগিওরার বডি বিল্ডার বন্ধুরাও করোনা আবহে কাজ হারিয়েছেন। তাই ঠিক করলেন, এমন কিছু যদি করা যায় যাতে তাঁর ব্যবসাও বাড়ে আর বন্ধুরাও উপার্জন করতে পারেন। তাই আইডিয়া আসে ডেলিভারি মাচোর।
বডি বিল্ডাররা যুবকরা এখন জাপানের অন্যতম খাবার সুসি ডেলভারি করছেন। এমন নতুনত্ব হোম ডেলিভারিতে উত্সাহিত হয়েই অনেকে খাবার অর্ডার করছেন। আর প্রতিদিনই বাড়ছে আয়।
‘ডেলিভারি মাচো’ সার্ভিসের অবশ্য বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে।কম করে ৭০০০ ইয়েনের খাবার অর্ডার করতে হবে।ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৫ হাজার টাকার মতো।জানা গিয়েছে, এই পরিকল্পনা রীতিমতো হিট। প্রতিদিন কম করে ১০টা অর্ডার আসছে।মাসে রোজগার হচ্ছে ১.৫ মিলিয়ন ইয়েন। মানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার কাছাকাছি।





 
 
 























































































































