ব্যাঙ্কিং সেক্টরে দেশে একসময়ের আলোচিত নাম তথা আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন সিইও চন্দা কোচারের স্বামী দীপক কোচারকে আর্থিক তছরুপ মামলায় গ্রেফতার করল ইডি। স্ত্রী ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে থাকার সুযোগে ব্যক্তিগত প্রভাব খাটিয়ে ভিডিওকন সংস্থার সঙ্গে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের একটি বড় অঙ্কের লেনদেন করান তিনি। পরে দেখা যায় সেই লেনদেনে ব্যাঙ্কের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে এবং লাভবান হয়েছে দীপক কোচারের সংস্থা। বেশ কিছুদিন তদন্ত চালানোর পর অবশেষে সোমবার রাতে দীপক কোচারকে গ্রেফতার করেছে ইডি।
গুরুতর আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে চন্দা, তাঁর স্বামী ও ভিডিওকন গ্রুপের কর্তা বেণুগোপাল ধুতের বিরুদ্ধে মামলা করে ইডি। অভিযোগ, চন্দা কোচার ব্যাঙ্কের শীর্ষ পদে থাকার সময় বেআইনিভাবে এই ব্যাঙ্ক থেকে ১৮৭৫ কোটি টাকা ঋণ অনুমোদন করা হয়েছে এবং তাতে কোচার ও ধুতের সংস্থা আর্থিকভাবে লাভ করেছে। ইডি-র পাশাপাশি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই তদন্ত চালাচ্ছিল গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। এই ঘটনায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং প্রতারণ দমন আইনে বিঘ্ন ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে। আইসিআইসিআই ব্যাংকের সিইও পদে থাকার সুবিধা নিয়ে অবৈধ উপায়ে ওই বেসরকারি সংস্থাকে ঋণ মঞ্জুর করেছেন চন্দা। বিতর্কে নাম জড়ানোর পরে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে সিইও পদ থেকে আগাম অবসর নিয়েছিলেন চন্দা।
এরপরে ওই তিন জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগে বলা হয়েছিল, বেণুগোপাল ধুতের দু’টি কোম্পানি বেআইনি লেনদেনে যুক্ত। এগুলি হল ভিডিওকন ইন্টারন্যাশনাল ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ও ভিডিওকন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এছাড়া বেণুগোপাল ধুতের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি সুপ্রিম এনার্জি ও দীপক কোচারের নিয়ন্ত্রিত নিউ পাওয়ার রিনিউয়েবলসের নামও এফআইআরে উল্লেখ করে সিবিআই। এরপর তদন্তভার হাতে নেয় ইডিও। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এই মামলায় তদন্ত করতে গিয়ে চন্দা কোচারের মোট ৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত হয়।
































































































































