সারা দেশের মতো বাংলাতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই মহামারি মোকাবিলায় বাধ্য হয়েই ফের পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের পথে হাঁটতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। আপাতত রোটেশন পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক লকডাউন চলছে রাজ্যজুড়ে। গোটা অগাস্ট মাস জুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউনের পর এবার সেপ্টেম্বরেও তা শুরু হবে। রাতপোহালেই সোমবার চলতি মাসের প্রথম পূর্ণাঙ্গ লকডাউন রাজ্যজুড়ে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই লকডাউন বিধি লাগু থাকবে।
আর আগে অগস্টের সাপ্তাহিক লকডাউনগুলিতে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক ইতিবাচক সাড়া মিলেছিল। শহর থেকে শহরতলী কিংবা জেলায় জেলায় ওইদিন কার্যত শুনশান চেহারা নিয়েছিল। এবার সেপ্টেম্বরেও প্রথম লকডাউন সফল হওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী প্রশাসন।
আরও পড়ুন- শোভাবাজার, কুমোরটুলির মৃৎশিল্প ও শিল্পী
সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে লকডাউন মানবে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও বেশকিছু অসচেতন মানুষ বিষয়টিকে হালকাভাবেই নিচ্ছে। আর তাদের এই অসতর্কতার জন্যই মহামারির ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। “কারণ” ছাড়া এর আগের লকডাউনগুলিতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনেক অসচেতন মানুষ। কিন্তু এবার আরও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামবে পুলিশ প্রশাসন।
অগস্টের লকডাউনগুলিতে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে পুলিশ। লকডাউন কার্যকর করতে ডিসি পদ মর্যাদার আধিকারিক পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছিলেন। কোথাও নাকা চেকিং, কোথাও ড্রোন আবার কোথাও টহলদারিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এমন অনেক অসচেতন মানুষ। এবার যাতে একশো শতাংশ লকডাউন হয়, তার জন্য সোমবার রাজ্যজুড়ে থাকবে ব্যাপক পুলিশি নজরদারি। জরুরি পরিষেবায় রয়েছে ছাড়। তাই মানুষ যাতে অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে না বেরোন, সেই আবেদনই করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। অন্যথায় কড়া হাতে তা দমন করবে প্রশাসন।
আরও পড়ুন- কলকাতায় এখন মাত্র একটি কন্টেইনমেন্ট জোন!