সারদা তদন্ত প্রায় শেষদিকে। রোজ ভ্যালি তদন্ত মাঝপথে। আইকোর একপ্রস্থ শুরু হয়েছে।
এই অবস্থায় বিধানসভা নির্বাচনের সাত-আটমাস আগে প্রয়াগ এবং আইকোর নিয়ে পূর্ণ গতির তদন্তের সিদ্ধান্ত নিল সিবিআই। দিল্লি থেকেও সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। সূত্রের খবর, এখানকার তদন্তকারী টিমকে এবিষয়ে জানিয়ে দিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান। এই তদন্তে দরকারে যে কোনো বড় নামকে গ্রেপ্তারেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর থেকেই বড়সড় প্রক্রিয়া শুরু হবে; যা চূড়ান্ত চেহারা নেবে নভেম্বর, ডিসেম্বরে। এর মধ্যে প্রয়াগের মামলাটিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে সিবিআই।
আরও পড়ুন- ভেজাল তেলের “গন্ধ” পেয়ে অর্জুন সিংয়ের পেট্রোল পাম্পে আচমকা হানা ইবি’র
এদিকে, সারদার দীর্ঘদিনের তদন্তকারী অফিসার তথাগত বর্ধনের বদলি হয়েছে। আগেই হয়েছিল। তাঁকে এখানে রাখা হয়েছিল। এবার দিল্লি যাচ্ছেন তিনি। বড়সড় ব্যাঙ্ক কেলেঙ্কারির তদন্ত বর্তাবে তাঁর উপর। আপাতত সারদার দায়িত্বে থাকবেন মনোজ কুমার। তথাগতকে বলা হয়েছে প্রয়োজন হলেই এখানে এসে সাহায্য করতে হবে, কারণ তিনিই এই মামলার নাড়িনক্ষত্র জানেন। শিগগিরই আরেকজন অফিসার টিমে যোগ দেবেন। এখন তদন্ত চালাবেন মনোজ।
সূত্রের খবর, সারদার চূড়ান্ত চার্জশিটের প্রস্তুতি চলছে। এখানে গোপন খেলায় এক প্রভাবশালীর নাম বাদ রাখার সম্ভাবনা প্রবল। এনিয়ে সিবিআই দপ্তরেও গুঞ্জন আছে। তবে দিল্লির নির্দেশের বাইরে কিছু করার নেই।
আরও পড়ুন- কৃতি চিকিৎসকের হাত ধরে যাত্রা শুরু ব্রেস্ট অ্যান্ড এন্ডোক্রিন সার্জারি ক্লিনিকের
সূত্রটি জানাচ্ছে, প্রয়াগ এবং আইকোরে বেশ কিছু তাৎপর্যপূর্ণ নাম আছে। তার মধ্যে দুতিনটি নাম রীতিমতো হেভিওয়েট। তাঁদের টানাটানি করলে রাজ্য রাজনীতিতে ঝড় উঠতে পারে। সেজন্য আটঘাঁট বেঁধে নামছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই তদন্তে যথেষ্ট দেরি হয়েছে। তাছাড়া ভোটের মুখে রাজনীতির অভিযোগও উঠতে পারে। এজন্য সব দিক বেঁধে খেলতে অফিসারস্তরে বিশেষ কিছু নির্দেশ দিয়েছে তারা। যুগ্ম অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তব বদলি হলেও আপাতত অতিরিক্ত দায়িত্বে বাংলাতেই আছেন। তাঁকে ঘনঘন বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে অফিসারদের সঙ্গে। নিজাম প্যালেসে একসময় দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাওয়া শান্তনু কর বিধাননগর অফিসে ফিরে এসেছেন। আরও দুজন অফিসার অন্য রাজ্য থেকে আসছেন।
সব মিলিয়ে এটা স্পষ্ট যে সিবিআই চিট ফাণ্ড মামলায় গতি এবং নতুন মোড় আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিধানসভা ভোটের আগে এটা হলে প্রতিহিংসা এবং এজেন্সি ব্যবহারের অভিযোগ উঠবেই। ফলে হাতেকলমে মাঠে নামার আগে হোমওয়ার্ক জোরদার করছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, আগামী দিন কয়েকের মধ্যেই এসম্পর্কে ইঙ্গিত আরও স্পষ্ট হবে। একমাত্র আই বি রিপোর্টে যদি এই পদক্ষেপের প্রবল নেতিবাচক প্রভাবের কথা বলা হয়, তাহলেই শুধু সিবিআইর পরিকল্পনায় কিছু বদল আসতে পারে বলে খবর।
আরও পড়ুন- “ময়ূর-ভিডিও পোস্ট না করে বেকারদের কথা ভাবুন”, মোদিকে বিঁধলেন নুসরত





 
 
 


























































































































