নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, পরিবার-পরিজন ছেড়ে মারণ ভাইরাস করোনা মোকাবিলায় শুরু থেকে তাঁরা চোখ বুজে বুক চিতিয়ে লড়ছেন। চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী-সাফাইকর্মীদের মতো তাঁরাও ফ্রন্ট লাইন কোভিড ওয়ারিয়র। মাসের পর মাস কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে মানব কল্যাণে সামনের সারিতে থেকে নিরলস কাজ করছেন পুলিশকর্মীরা। করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে নেমে একের পর এক পুলিশকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন মারণ ভাইরাসে। আত্মত্যাগের মধ্যেও তারা অকুতোভয় হয়ে সমাজের জন্য পথে নেমে দিনরাত এক করে ফেলছেন। কিন্তু তাঁদের প্রতি এমন অন্যায়-অমানবিকতা? অভিযোগ, সরকারি করোনা হাসপাতাল হওয়া সত্ত্বেও আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসায় গাফিলতি দেখাচ্ছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকর্মীদের পরিবারকে।
যেখানে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, কোভিড যোদ্ধাদের সর্বোতভাবে যাতে সাহায্য করা হয় সেদিকে সকলকে বিশেষ করে হাসপাতালগুলিকে সাহায্য করতে হবে। সাধারণ মানুষ করোনা যোদ্ধাদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। তাঁদের সমর্থন জোগাচ্ছেন। কিন্তু পুলিশকর্মীদের সমস্যার মধ্যে ফেলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তারই প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে নজিরবিহীন বিক্ষোভ দেখালেন পুলিশকর্মীরা। করোনা যোদ্ধাদের চিকিৎসায় মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বেনজিরভাবে গাফিলতির অভিযোগ আনা হলো পুলিশমহল থেকে।
কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকর্মীরা প্রাণপাত করছেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তাঁরা। এমনকি, বছরের প্রতিটা দিন হাসপাতালগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করেছেন তাঁরা। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনায় হাসপাতালের মধ্যে যাতে আইন-শৃঙ্খলা বজায় থাকে তার দেখভাল করেন পুলিশকর্মীরা।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ভিতরেও বউ বাজার থানার পুলিশ ফাঁড়ি রয়েছে। সেখানকার বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেরকমই এদিন এক পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে নিয়ে যান তাঁর সহকর্মীরা। আর তখনই তাঁদর চূড়ান্ত হেনস্থা এবং হয়রানির শিকার হতে আক্রান্ত ওই পুলিশকর্মী, টান পরিবার ও সহকর্মীদের। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে মেডিক্যাল কলেজের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে সেই করোনা আক্রান্ত ওই পুলিশকর্মীকে ভর্তি নেয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশকর্মীদের আরও অভিযোগ, এই প্রথম নয়, আগেও কয়েকবার করোনা আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করাতে গেলে একইরকম তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁদের। এদিন তাই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায় পুলিশকর্মীদর। হাসপাতালের মধ্যেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন করোনায় আক্রান্ত সেই পুলিশকর্মীর সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, রাজ্য সরকার মেডিক্যাল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল ঘোষণা করার পরেও কেন আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের উপর এমন আমানববিক আচরণ করা হচ্ছে। এই ঘটনার বিহিত চেয়েছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন : আগের ছুটি ফিরছে ব্যাঙ্কে, মাসে দুই শনিবার বন্ধ
































































































































