ইসলামাবাদ হাইকোর্টে কুলভূষণ যাদব মামলায় বড় জয় পেল ভারত। পাক আদালত মামলার শুনানি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছে। সেইসঙ্গে আদালত জানিয়েছে, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডারকে রক্ষার জন্য ভারতকে আইনজীবী নিয়োগের সুযোগ দেওয়া হবে।বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তবে এই বিষয়ে বেশ কিছু শর্তও চাপিয়েছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, ওই আইনজীবীকে অবশ্যই পাকিস্তানি নাগরিক হতে হবে। ভারত সরকারকে এই আইনজীবী নিয়োগের কাজটা করতে হবে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রকের অধীনে।
ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত কুলভূষণের আইনজীবী নিয়োগ সংক্রান্ত মামলার শুনানি চলছে ইসলামাবাদ হাইকোর্টে। এ দিন কুলভূষণ মামলার শুনানিতে পাক সরকারের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল খালিদ জাভেদ খান আদালতকে জানিয়েছেন, আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতের নির্দেশ মতো ভারতকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়া হয়েছিল। তবে কুলভূষণের জন্য আইনজীবী নিয়োগে পাক সরকারের প্রস্তাবে ভারত সাড়া দেয়নি। পাক সরকারের বন্তব্য শোনার পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টের বক্তব্য , এই নির্দেশ ভারত সরকারের কাছেও পাঠাতে হবে পাক সরকারকে।
ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন অফিসার কুলভূষণ যাদবকে চরবৃত্তি ও সন্ত্রাসের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গ্রেফতার করে পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনী। যদিও ভারতের দাবি ছিল, ব্যবসার খাতিরে ইরানে গিয়েছিলেন কুলভূষণ। সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। এর পর ২০১৭-র এপ্রিলে কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা শোনায় পাকিস্তানের সামরিক আদালত। যার বিরুদ্ধে ওই বছরের মে মাসে আন্তর্জাতিক আদালতের দ্বারস্থ হয় ভারত। তাতে ভারতের পক্ষেই রায় দেয় আন্তর্জাতিক আদালত। গত বছর জুলাইয়ে আন্তর্জাতিক আদালত জানায়, কুলভূষণ যাদবের মৃত্যুদণ্ড রদ করে তা পুনর্বিচার করা উচিত পাকিস্তানের। কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয়, কনস্যুলার অ্যাকসেস না দিয়ে পাকিস্তান ভিয়েনা চুক্তি ভঙ্গ করেছে বলেও জানায় আন্তর্জাতিক আদালত। তবে সেই রায়ের বিপরীতে গিয়ে পাকিস্তানের দাবি ছিল, কুলভূষণ নাকি নিজেই মৃত্যুদণ্ড পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাতে চান না। আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশও দেশের সংবিধান মেনে বলবৎ করা হবে বলে জানায় পাক সরকার।
ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, সবটাই পাকিস্তানের নতুন নাটক। বিদেশমন্ত্রকের মুখুপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেছেন, কুলভূষণ বরাবরই বলে এসেছেন তিনি নিরপরাধ। চরবৃত্তির অভিযোগে তাঁকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। কোনও সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তি যদি নিজেকে নিরপরাধ প্রমাণ করতে চান, তাহলে তিনি রিভিউ পিটিশনের আর্জি করবেন। প্রাণভিক্ষার আবেদন করা মানে তো অভিযোগ মেনে নেওয়া।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.