সন্ধে নামলেই তাঁদের রমরমা বাজার। রাতের অন্ধকারে দরজায় ঘন ঘন কড়া নাড়াতো খদ্দের। কিন্তু অদৃশ্য ভাইরাস তাঁদেরও ভাতে মারছে। একদিকে করোনা আতঙ্ক, অন্যদিকে লকডাউন, সবমিলিয়ে আর দরজার সামনে আসে না কেউ। হাতে গুঁজে দেয় না টাকার বান্ডিল। গ্রাহক নেই, কর্মহীন জীবন বড়সড় প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে তাঁদের ভবিষ্যৎকে। থমকে গিয়েছে জীবন।
তাঁদের অন্ধকার জীবনেই এবার আলোর দিশা দেখাচ্ছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লকডাউন ও করোনা আবহে চরম দুর্দশায় পড়া অসহায় যৌনকর্মীদের পাশে দাঁড়ালেন।
নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রকল্পে কাজে লাগানো হবে রাজ্যের কয়েক লক্ষ যৌনকর্মীকে। রাজ্য পঞ্চায়েত দফতরের এক জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩৫ লক্ষ মহিলা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। করোনা ও লকডাউনের পর থেকে তাঁদের কোনও উপার্জন নেই। তাঁদেরকে কাজ দিতে এবার এগিয়ে এসেছে রাজ্য স্বনির্ভর গোষ্ঠী। যৌনকর্মীদের আচার, জ্যাম, জেলি, পাপড় ইত্যাদি তৈরির কাজে লাগানো হবে। তাঁদের তৈরি জিনিসগুলি সরকার সরাসরি কিনে নেবে। আর তা বিভিন্ন সরকারি স্টোর থেকে বিক্রি করা হবে।
জানা গিয়েছে, আপাতত কোন্নগর, শাসন, কালনা ও হিঙ্গলগঞ্জ থেকে এই কাজ শুরু হবে। তারপর ধীরেধীরে বিভিন্ন রেড লাইট এরিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন : ক্যান্টিন সফল, এবার ‘ফুয়াদ- মডেল’-এ সস্তার চিকিৎসা কেন্দ্র আলিমুদ্দিনের

































































































































