প্রয়াত হলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী ও বিশিষ্ট আইনজীবী কাশীকান্ত মৈত্র। তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৫। শনিবার সল্টলেকের বাড়িতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি৷ প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর মৃত্যু হয়৷ ফুল পাঠিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্য বিধানসভায় ৬ বার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি৷ ১৯৬২ সালে তিনি প্রথম বার PSP বা প্রজা সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রতিনিধি হিসাবে কৃষ্ণনগর-পূর্ব কেন্দ্র থেকে বিধানসভায় নির্বাচিত হন। এর পর দু’বার, ১৯৬৭ ও ১৯৬৯ সালে SSP বা সংযুক্ত সোশ্যালিস্ট পার্টির টিকিটে বিধায়ক হন। ১৯৭১ সালে তিনি জয়ী হন কংগ্রেসের সমর্থনে। পরের বছর, ১৯৭২ সালে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক হয়ে রাজ্যের খাদ্য ও পশুপালনমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন কাশীকান্তবাবু। তখন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। কিন্তু এক আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় তাঁর আপ্ত সহায়ক জড়িয়ে পড়ার পর মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন কাশীকান্ত মৈত্র। ৬৮ বছরেরও বেশি সময় ধরে আইনি পেশায় থাকা কাশীকান্তবাবু লকডাউন শুরুর আগে পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টে নিয়মিত গিয়েছিলেন৷
২০১৩ সালে রাজ্যের ‘বঙ্গবিভূষণ’ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি৷ কাশীকান্তবাবুকে শ্রদ্ধা জানাতে তাঁর বাড়িতে যান রাজ্যের ২ মন্ত্রী সুজিত বসু ও ব্রাত্য বসু, যান বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তীও। শোকপ্রকাশ করেছেন কংগ্রেসের প্রদীপ ভট্টাচার্য, আবদুল মান্নান, সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী। কাশীকান্তবাবু রেখে গিয়েছেন তাঁর স্ত্রী, কন্যা, পুত্রবধূ ও নাতি–নাতনিদের।প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে মৃত্যু হয় তাঁর পুত্র বিশিষ্ট চিকিৎসক সুব্রত মৈত্রের।

































































































































