এক সপ্তাহও কাটেনি, কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক তোলপাড় হয়েছে নেতৃত্বের প্রশ্নে দলের শীর্ষ স্তরের ২৩ জন নেতার চিঠিকে কেন্দ্র করে। এবার তার পাল্টা বিক্ষুব্ধদের ‘নজরবন্দি’ রাখতে সংসদের দুই কক্ষে কমিটি গঠন করলেন সোনিয়া গান্ধী। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় দলের সভাপতি নির্বাচন চেয়ে সরব তথাকথিত বিক্ষুব্ধ নেতারাই এই কমিটি গঠনের লক্ষ্য। রাজ্যসভা নিয়েই উদ্বেগ বেশি কংগ্রেস হাইকমান্ডের। কারণ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতা গুলাম নবি আজাদ এবং সহকারী দলনেতা আনন্দ শর্মা দুজনেই সেই বিস্ফোরক চিঠির স্বাক্ষরকারী। রাজ্যসভায় কেউ যাতে বেফাঁস কিছু না বলেন বা ইচ্ছেমত পদক্ষেপ না নেন তা দেখার দায়িত্ব দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন সোনিয়া। এই কমিটির নেতৃত্বে আছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ রাজ্যসভার সাংসদ জয়রাম রমেশ। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজ্যসভায় দলের বক্তারা কী কী বিষয়ে বলবেন তা দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আহমেদ প্যাটেল ও কেসি ভেনুগোপালকে। বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ বাড়াতে এবং কেউ যাতে বেফাঁস কিছু না বলেন তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনাকে সরাসরি গুলাম নবি আজাদ ও আনন্দ শর্মার বিরুদ্ধে অনাস্থা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজ্যসভার মত লোকসভাতেও শশী থারুর ও মনীশ তেওয়ারির মত নেতাদের চাপে রাখতে গৌরব গগৈ ও মনবীত সিং বিট্টুর মত রাহুল ঘনিষ্ঠ নবীন নেতাদের দায়িত্ব দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।