প্রথমে ভরলুমুখ। তারপর কামাখ্যাগেট। জালুকবাড়ি পার করে বাঁয়ে ব্রহ্মপুত্রের উপরে সরাইঘাটের সেতু। তামোট রাস্তাটা ২৫ কিলোমিটারের। যানজট পার করে পাক্কা পঁয়তাল্লিশ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার রাস্তা।
সেই রাস্তাই এবার মাত্র সাত মিনিটে পার করা যাবে!
সৌজন্যে নদীর উপর দিয়ে যাওয়া দেশের দীর্ঘতম রোপওয়ে।
১১ বছরের জট কাটিয়ে চালু হল ব্রহ্মপুত্রের উপর দিয়ে সেই রোমাঞ্চযাত্রা। উদ্বোধন করেছেন অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা ও গুয়াহাটি উন্নয়ন মন্ত্রী সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য।
২০০৯ সালে রোপওয়ে প্রকল্পটি প্রথম গৃহীত হয়। কিন্তু কাজ শুরু হয় ২০১১ সালে। ঊর্বশী দ্বীপের উপর দিয়ে রোপওয়ে যাওয়ায় আপত্তি, পরিবেশ সংক্রান্ত আপত্তি, নকশা ও প্রযুক্তি নিয়েও আপত্তি। তার মধ্যে একটি নির্মীয়মান স্তম্ভও হেলে যায়। সব মিলিয়ে বন্ধ হয়ে যায় কাজ।
সব জট কাটিয়ে নতুন করে কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দামোদর রোপওয়েজ কাজ শেষ করে ফেলে।শুরু হওয়া রোপওয়েতে ব্রহ্মপুর উপর দিয়ে পার করে ওপারে অশ্বক্লান্ত মন্দিকের কাছে পৌঁছানো যাবে মাত্র ৭ মিনিটে। রোপওয়ের দৈর্ঘ্যে ১.৮২০ কিলোমিটার। তৈরিতে খরচ পড়েছে ৫৬ কোটি আট লক্ষ ২০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি তৈরি করেছে সমীর দামোদর রোপওয়েজ। কেবিন তৈরি করেছে সুইজারল্যান্ডের গ্যাংলফ কেবিন কোম্পানি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.