কোচবিহারে বিজেপিকে জোর ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে যোগ জনপ্রিয় নেতাদের

0
1

বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ক্রমশ চাঙ্গা হচ্ছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রধান বিরোধী শক্তি হিসেবে উঠে আসা বিজেপি হোক কিংবা বাম-কংগ্রেস, পাহাড় থেকে জঙ্গল অথবা সাগর থেকে শহর, ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের হিড়িক পড়েছে। তারই অঙ্গ হিসাবে এবার উত্তরবঙ্গের কোচবিহারে বড়সড় ভাঙন গেরুয়া শিবিরে। এখানে বিজেপির বেশ কয়েকজন স্থানীয় জনপ্রিয় নেতা পদ্ম ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছেন।

কোচবিহার তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়ের হাত ধরে বিজেপি ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিলেন চারজন দক্ষ সংগঠক ও নেতা-নেত্রী। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের প্রভাবশালী নেতা পরিমল রায়, বিজেপির প্রাক্তন মহিলা জেলা সম্পাদক কমলা সরকার, বিজেপির ৩২ নম্বর মণ্ডলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি কুমারজিৎ সরকার ও বিজেপি নেত্রী শোভানারি সাহা তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে নেন। তাঁদের সঙ্গে কয়েকশো অনুগামীও তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পার্থপ্রতীম রায়।

বিজেপি ছেড়ে আসা চার নেতা-নেত্রীকে স্বাগত জানান তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। দলবদলের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “বিজেপি ছেড়ে চারজন নেতানেত্রী যোগ দিয়েছেন আমাদের দলে। আমরা সাত দফায় যোগদান করাব আরও নেতানেত্রীকে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই দলবদল চলবে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিজেপি যুব মোর্চা ছেড়েও তৃণমূলে আসছেন অনেক নেতা-কর্মী।”

প্রসঙ্গত, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার জেলার একমাত্র লোকসভা আসনে তৃণমূলকে হারিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামাণিক। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বিজেপির সংগঠনকে জোর ধাক্কা দিলো শাসক দল।

উল্লেখ্য, একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা আহ্বান জানিয়েছিলেন যাঁরা ভুল করে বিজেপিতে গেছেন তাঁদের ফিরে আসার। তারপরই পর থেকে রাজ্যজুড়ে বিজেপির ভাঙন আর তৃণমূলের শক্তি বৃদ্ধির শুরু।