মহামারি পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল না হলে, বাংলায় বিধানসভা নির্বাচনের সম্ভাবনা আগামী বছরের এপ্রিল-মে মাসে৷ এ রাজ্যের ভোটকে পাখির চোখ করে আর সময় নষ্ট না করে চলতি মাসেই ভোটপ্রচারে নেমে পড়ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷
আগস্ট মাসের ৩০ তারিখের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ কিছু বার্তা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, এবারের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মোদির বক্তব্যের জন্য বাংলার সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক এবং রাজনৈতিক বেশ কিছু ‘ইনপুট’ দিল্লি পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে থেকে বাছাই করা কিছু বিষয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে উঠে আসতে পারে৷
কেন্দ্রীয় সরকারের ‘লুক ইস্ট’ নীতিতে বাংলার স্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার সামগ্রিক উন্নয়নের মাধ্যমে গোটা পূর্বাঞ্চল এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চায়। রাজ্য বিজেপি নেতারাও উদগ্রীব প্রধানমন্ত্রী বাংলা সম্পর্কে ওইদিন কী বার্তা দেন।
সূত্র মারফত গুরুত্বপূর্ণ এক খবরও জানা গিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের একাধিক সর্বভারতীয় অফিসার এ রাজ্যের প্রশাসনের একাধিক দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করেছেন। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টও দিল্লি পৌঁছে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বাংলার জন্য উন্নয়নের বার্তা এখনই ঘোষণা করতে চাইছেন। বাংলাকে দেশের প্রথম সারির রাজ্যগুলির সঙ্গে একাসনে বসাতে চাইছেন। তাই কোন কোন ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ পিছিয়ে রয়েছে এবং তার সমাধান কী হতে পারে, তা নিয়েই পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের সর্বভারতীয় অফিসারদের বলা হয়েছিলো পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিতে৷ অফিসাররা সেটাই করেছেন৷ এই রিপোর্ট নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে দিল্লিতে।
ওদিকে আমফান ও করোনায় সরকারি ত্রাণবন্টনে অনিয়ম নিয়ে দিল্লিতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট পাঠিয়েছে রাজ্য বিজেপি। রাজ্যপালও আলাদা রিপোর্ট পাঠিয়েছেন৷ এ প্রসঙ্গে,বঙ্গ-বিজেপি’র বক্তব্য, গোটা দেশে বিকাশ তথা উন্নয়নকে ইস্যু করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। ২০২১ সালে বাংলার বিধানসভা নির্বাচনেও মূল ইস্যু হবে উন্নয়ন। তাই প্রধানমন্ত্রী নিজেই যদি ৩০ আগস্ট উন্নয়ণের রুটম্যাপ তৈরি করে দেন, তাতে একশো শতাংশ লাভ রাজ্য বিজেপির।