প্রবল অর্থনৈতিক সঙ্কট, সাহায্য চেয়ে কেন্দ্রের দ্বারস্থ সায়েন্স সিটি!

0
3

মহামারির পরিস্থিতি। পরপর লকডাউন। আর এবার তারই প্রভাব পরল সায়েন্স সিটিতে।  ১৯৯৮ সাল থেকে টানা ২২ বছর নিজেদের আর্থিক ভাবে স্বনির্ভর হিসেবে ধরে রাখতে পেরেছিলেন সায়েন্স সিটির কর্মীরা।  প্রতি বছর যেখানে গড়ে ১৫ লক্ষ করে দর্শক আসেন এখানে। এই দর্শকরা আসেন বলেই প্রতি বছর ৭০% টাকা আয় করতে পারে সায়েন্স সিটি। বাকি টাকা উঠে আসবে সায়েন্স সিটির দু’টি অডিটোরিয়াম ও মেলার মাঠ ভাড়া দিয়ে। কিন্তু এতগুলি মাধ্যম থেকে কোনও টাকাই আসছে না।

সাহায্য চেয়ে তাই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হল কলকাতার সায়েন্স সিটি। কলকাতার যে কয়েকটি দেখার জায়গা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল স্থান সায়েন্স সিটি। গ্রীষ্মের ছুটি, কিংবা শীতের মরশুম ভিড়ে জমজমাট থাকে সায়েন্স সিটি। প্রতি বছর সায়েন্স সিটির আয় হয় প্রায় ২২ কোটি টাকা। তার মধ্যে এপ্রিল, মে, জুন, জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর মিলিয়ে শুধু আসে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এ বারে সেখানে ১ টাকাও আসেনি।

ফলে সায়েন্স সিটির অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। আর সায়েন্স সিটির সঙ্গে যুক্ত থাকেন প্রায় ২৭৫ জন কর্মী। তার মধ্যে ৭৫ জন হলেন সরকারি। ২০০ জনকে বিভিন্ন সংস্থা মারফত নিয়োগ করা হয়। এই সব কর্মীদের বেতন আয়ের ওপর নির্ভর করে । কিন্তু এই বছর বর্তমান পরিস্থিতির কারণে অবস্থা খুবই খারাপ। এত বড় একটি প্রতিষ্ঠান চালাতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ প্রয়োজন হয় তা কী ভাবে মিলবে তা নিয়ে চিন্তায় সকলে। সায়েন্স সিটির ডিরেক্টর শুভব্রত চৌধুরী জানিয়েছেন, “এমন পরিস্থিতির শিকার আগ কখনও হতে হয়নি আমাদের। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি উপায় খুঁজে বার করতে। সে কারণেই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রককে চিঠি দিয়ে আমরা জানিয়েছি। আশা করব সরকার আমাদের বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন।”