বিশ্বভারতী পাঁচিলকাণ্ডে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক ও নেতাদের পাশেই দাঁড়ালেন রাজ্যেরবমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অভিযোগ, পাঁচিল ভাঙার কাজে সোমবার স্থানীয়দের উসকানি দিয়েছিলেন দুবরাজপুরের তৃণমূল বিধায়ক নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তিনি ছাড়াও বিশ্বভারতীর তৃণমূল নেতা গগন সরকার-সহ ৯ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠিয়ে গোটা ঘটনা জানানো হচ্ছে।
তারই পাল্টা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, স্থানীয় বিধায়কের কাজই হলো এলাকার মানুষের আবেগকে গুরুত্ব দেওয়া। এবং তিনি সেটাই করেছেন। এ প্রসঙ্গে শোভনদেববাবু বলেন, “ভুবনডাঙার মাঠের সঙ্গে বাঙালির সেন্টিমেন্ট জড়িয়ে আছে। উপাচার্য সেখানে পাঁচিল তোলার আগে স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে কথা বলে এবং বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে পারতেন। মানুষের আবেগের কথা মাথায় রাখেননি উপাচার্য। হঠাৎ করে এমন একটা সিদ্ধান্ত তিনি কেন নিতে গেলেন? আসলে উপাচার্য বাইরের লোক বলে মানুষের সেন্টিমেন্ট বুঝতে পারেননি। তৃণমূলের বিধায়ক এলাকার মানুষ। তিনি মানুষের আবেগকে না গুরুত্ব দিলে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে যাবেন। তাই গিয়েছিলেন।”
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেছেন, “রবীন্দ্রনাথ বিশ্ববিশ্বভারতী গড়ে তুলেছিলেন প্রাকৃতিক পরিবেশে শিক্ষাদানের জন্য। আমি একটাই কথা বলব, বাংলার ঐতিহ্য যাতে নষ্ট না হয়, বিশ্বভারতীর গৌরব এবং ঐতিহ্য যাতে অটুট থাকে, তা আমাদের সকলের দেখা উচিত। নির্মাণ মানেই তা সৌন্দর্য বাড়ায় এমনটা কিন্তু নয়।”
এদিকে, জট কাটাতে বুধবার সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা জানিয়েছেন বীরভূমের জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। বৈঠকে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকেও।