আবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের চিঠির বিস্ফোরণ। বিশ্বভারতীর ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করে বলেছেন, ‘গতকালের ঘটনায় মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। এই ঘটনা সকলকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এ আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ যদিও পাল্টা তৃণমূলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, বিশ্বভারতীর উপাচার্য স্বেচ্ছ্বাচারিতার নজির গড়েছেন। রবীন্দ্রনাথ খোলা প্রাঙ্গনে শিক্ষাকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। তাই গাছের তলায়, ছাতিম তলায় ক্লাস হয়। আর সেটাকেই পাঁচিলে ঘিরে জেলখানা বানানোর চেষ্টা চলছে। স্বভাবতই তার প্রতিবাদ হয়েছে। প্রতিবাদের মাত্রা চরম হলে কখনই তা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয় না। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে।
রাজ্যপাল চিঠিতে লিখেছেন, গুন্ডারা ওখানে তাণ্ডব চালাল পুলিশ প্রশাসনের নাকের ডগার উপর, নির্ভয়ে। ভাঙচুর, ধ্বংস সব কিছু হলো পৃথিবীখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে! এই ধরণের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কথা কোনদিন ভুলতে পারব না। কী ঘটেছিল তা আপনি নিজের চোখেই ফুটেজগুলো দেখুন। দেখবেন কীভাবে পুলিশ বোবা দর্শকের মতো সেখানে ছিল। সংগঠিত সন্ত্রাসকে মদত দেওয়া হয়েছে। ডিএম-এসপির পদক্ষেপে নির্লিপ্ততা লক্ষ্য করা গিয়েছে। আমি শুধু মনে করিয়ে দিতে চাই কবিগুরুর কথা… চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উচ্চ যেথা শীর…। প্রত্যেক সমাজের ভালো-মন্দের পার্থক্য করার জ্ঞান থাকা দরকার। আশা করি ১৭ অগাস্টের মন্দের দিকগুলো খুঁজে বের করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবে সরকার।