সুশান্ত-মৃত্যুতে জড়িত ‘বাঙালি’ রিয়া, বঙ্গনারী- বিদ্বেষ সোশ্যাল মিডিয়ায়

0
1

অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু হয়েছে দু’মাস। এর মধ্যে বহু তথ্য উঠে এসেছে তার মৃত্যু ঘিরে। তাঁর আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বাঙালি বান্ধবী রিয়া চক্রবর্তীর।

এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বাঙালি মহিলাদের উদ্দেশ্য করে একাধিক কুরুচিকর মন্তব্য ছড়িয়েছে। অভিযোগও জমা পড়েছে। এরপর থেকেই ঘটনায় সজাগ কলকাতা পুলিশ। এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন এ রাজ্যের মহিলা কমিশন।

‘বঙ্গযোদ্ধা’ নামে একটি সংগঠন কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য মহিলা কমিশন এর কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে একটি অভিযোগ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, রিয়াকে দৃষ্টান্ত করে বাঙালি মহিলাদের কুরুচিকর মন্তব্য করা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশের সাইবার সেলের এক কর্তাকে মেলটি পাঠান। এরপর সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেন। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘একটি সংগঠনের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম সেলের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। কথা বলেছি পুলিশের ওই শাখার এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে। ওঁরা বিষয়টি দেখছেন।’’
লীনা আরও জানান, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েক জন ছাত্রছাত্রীও তাঁদের কাছে মেলের মাধ্যমে অভিযোগ জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও অনেকে ই-মেল করে অভিযোগ জানিয়েছেন। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের প্রতিক্রিয়া, ‘‘এই ধরনের ঘটনা মোটেই কাঙ্ক্ষিত নয়। আমি কলকাতা পুলিশের থেকে রিপোর্ট চেয়েছি। রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।’’

‘বঙ্গযোদ্ধা’ সংগঠনটির তরফ থেকে কলকাতা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন রূপা চক্রবর্তী খান এবং ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ আরও কয়েকজন। রূপা চক্রবর্তী খানের কথায়, “সুশান্ত-মৃত্যুর ঘটনায় রিয়া চক্রবর্তীর নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরে আমরা লক্ষ্য করেছি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বাংলার নারীদের সম্মানহানির প্রবণতা ক্রমশই বেড়েছে। বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে কুরুচিকর মন্তব্যের বন্যা বইছে।’’ রূপার দাবি, “অপকর্মে যুক্তদের প্রায় সকলেই নির্দিষ্ট একটি ভাষাগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত।” ঝুমা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘সোশ্যাল মিডিয়ায় মহিলাদের সম্মানহানি একেবারেই নতুন বিষয় নয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাঙালি মহিলাদের চিহ্নিত করে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। এ ধরনের ঘটনা আগে কখনও হয়েছে বলে শুনিনি। তাই চুপ না-থেকে পুলিশে অভিযোগ করেছি।’’