মোদির কাছে পাওনা অর্থ দাবি করে মিলেছে মাত্র ৪১৭ কোটি, ক্ষুব্ধ মমতা

0
1

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মঙ্গলবারের ভিডিও- বৈঠকে মহামারি-যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের দাবি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অনুরোধ করেছিলেন, রাজ্যের প্রকৃত পাওনা ৫৩ হাজার কোটি টাকা দ্রুত বরাদ্দ করা হোক। প্রাপ্য টাকা মিললে মহামারির বিরুদ্ধে লড়াই আরও গতি পাবে৷ প্রধানমন্ত্রীর সামনে রাজ্যের পাওনার স্পষ্ট ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিন্তু ওই বৈঠকের পর মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা বাংলার জন্য বরাদ্দ করল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই ৪১৭ কোটি টাকা বাংলার রুটিন প্রাপ্য। ডিভল্যুশন রেভিনিউ গ্রান্ট বা কর বাবদ রাজ্য থেকে সংগৃহীত অর্থের যে অংশ ফেরত দেয় কেন্দ্র, ওই অর্থ দেশের আরও ১৩টি রাজ্যের মতোই প্রতি মাসে মেলার কথা বাংলার। কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই টাকা দেয় অর্থমন্ত্রক। সেটাই দেওয়া হয়েছে। বারবার সরব হয়েও মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা মেলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর বক্তব্য, বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার তালিকা ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে। এই ছিঁটেফোঁটা বরাদ্দ করে রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে৷ প্রসঙ্গত, মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইতিমধ্যে ২৫০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করেছে বাংলা। কেন্দ্র থেকে মিলেছে মাত্র ১২৫ কোটি টাকা। অর্থদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পোস্ট ডিভল্যুশন ডেফিসিট গ্রান্ট বাবদ অর্থ কমিশনের সুপারিশও পুরোপুরি মানা হয়নি। এই বাবদ যে অর্থ চলতি আর্থিক বছরে বা ২০২০-২১ সালে রাজ্যের পাওয়ার কথা, তার মোট পরিমাণ ৫ হাজার ১৩ কোটি টাকা। সেই রুটিন প্রাপ্যকে বিপর্যয় পর্বে ১ হাজার ৬৭১ কোটি টাকার তিনটি মাসিক কিস্তিতে দেওয়ার জন্য গত ৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখেছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। অর্থদপ্তরের ওই সূত্রটি আরও জানিয়েছে, সেই চিঠির জবাব এখনও মেলেনি। আর এখন মাসিক কিস্তি বাবদ মাত্র ৪১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে প্রচার চলছে।