ঘাটালের বিধায়ক শঙ্কর দোলুইয়ের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব নিয়ে যা প্রকাশিত হয়, তাকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিলেন সাংসদ দেব। বরং বিধায়ক তাঁর বড় দাদার মতো, এমনই মন্তব্য সাংসদ দেবের।
অথচ ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেবের অনুগামীদের সঙ্গে বিধায়কের শিবিরের ‘ঠান্ডা লড়াই’ বহু চর্চিত।
সম্প্রতি ঘাটাল কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাঙ্কের ক্ষমতা হাতছাড়া হয়েছে শঙ্কর শিবিরের । জিতেছেন সাংসদ অনুগামীরা।
যদিও মেদিনীপুরে এসে দেব বললেন, ‘‘শঙ্কর দোলুইয়ের হাত ধরেই আমি রাজনীতিতে এসেছি। আমার দু’টো নির্বাচনেই শঙ্করদা আমার প্রতিনিধি ছিলেন। ওঁর কাছে রাজনীতির অনেক কিছুই শিখেছি। ঘাটালের যে তিন-চারজন আমার খুব কাছের মানুষ, উনি তার মধ্যে একজন। শঙ্করদা আমার খুব কাছের মানুষ। আমার মনে হয় না যে, আমার সঙ্গে শঙ্করদার কোনও দূরত্ব তৈরি হয়েছে।’’ শুধুমাত্র এটুকু বলেই থেমে থাকেননি দেব। তিনি বলেছেন , ‘‘উনি বহু বছরের রাজনীতিক। ছোটবেলা থেকে রাজনীতি করছেন। কলেজে রাজনীতি করেছেন। কংগ্রেসে ছিলেন, সিপিএমে ছিলেন, তারপর তৃণমূলে এসেছেন। ওঁর এত বছরের রাজনীতির অভিজ্ঞতা যে কোনও দলের জন্য বড় পাওনা।’’
দেবের এহেন শঙ্কর স্তুতি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাটাছেঁড়া । এই বিষয়ে বিধায়কের প্রতিক্রিয়া, ‘‘দেব ভাল ছেলে। ওকে কেউ কেউ ভুল বোঝাচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরে দলের সাংসদ, বিধায়কদের নিয়ে এক বৈঠক করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি। বৈঠকে থাকতেই মেদিনীপুরে এসেছিলেন দেব। বিধায়ককে অবশ্য এ দিনের বৈঠকের ধারেকাছে দেখা যায়নি । এ দিন কালেক্টরেটে গিয়ে জেলাশাসক রশ্মি কমলের সঙ্গেও দেখা করেন দেব। সাংসদের কথায়, ‘‘ঘাটালে বন্যা মোকাবিলায় আমরা কতটা প্রস্তুত আছি, সেই খোঁজখবর নিয়েছি।’’
এখনও তো ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ এগোল না? দেব বলেন, ‘‘ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে আমি প্রথম দিন থেকেই লড়ে যাচ্ছি। আমি, মানসদা সবাই। কেন হচ্ছে না সাধারণ মানুষ বোঝে। ঘাটালের মানুষকে রাজনীতি বোঝানোর দরকার নেই।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.