আপলোড করা হয়েছিল সরকারি নিয়মবিধি মেনে । কিন্তু তারপর ওয়েবসাইট থেকে উধাও হল সীমান্তে চিনের সেনা অনুপ্রবেশের তথ্য । পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ওয়েবসাইটে কিছু তথ্য আপলোড করা হয়েছিল । এরপর বৃহস্পতিবার ওই তথ্যগুলি সরিয়ে দেওয়া হয় ওয়েবসাইট থেকে । সংবাদমাধ্যমে তারপরই দাবি করা হয় যে, তিন মাস আগে লাদাখে যে চিনের সেনা ঢুকে পড়েছিল তারই প্রমাণ ছিল ওই নথিতে ।লাদাখের সীমান্ত সংঘর্ষে চিনের সেনা যে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করেছিল, তার প্রমাণ হিসেবে এটিই প্রথম সরকারি নথি । এরপর জল্পনা আরও বাড়ে যখন শুক্রবার সকালে দেখা যায়, ওই লিঙ্কে ক্লিক করার পরেও কোনও কাজ করছে না ।
গত ১৫ জুন ১৪ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টের কাছে দু’দেশের সেনার সংঘর্ষে মারা যান ২০ জন ভারতীয় সেনা। ওই ঘটনার পরে সর্বদল বৈঠকে মোদি দাবি করেছিলেন, ভারতের সীমান্ত অতিক্রম করে কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর ওই দাবি ঘিরে সেই সময়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধীরা।
এরপর দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে । কিন্তু করোনা আবহের মধ্যেও লাদাখে পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
কমান্ডার পর্যায়ের পঞ্চম দফা বৈঠকের পর চিন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের সেনা প্রত্যাহার শেষ। প্যাংগং লেকের ফিঙ্গার পাঁচ থেকে আট পর্যন্ত যে এলাকায় তারা বসে পড়েছে, সেখান থেকে সরার প্রশ্নই নেই। ফলে দর কষাকষির প্রশ্নে রীতিমতো ব্যাকফুটে দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নথি সামনে আসায় ফের সরব কংগ্রেস নেতৃত্ব।
রাহুল গান্ধী প্রথমে টুইট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী কেন মিথ্যা কথা বলছেন? পরে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ওই নথি সরিয়ে দিতেই রাহুল ফের টুইট করেন, ‘‘চিনের সঙ্গে পাল্লা দেওয়া তো দূর, ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী তাদের নাম নিতেই সাহস পাচ্ছেন না। চিন আমাদের ভূখণ্ডে বসে রয়েছে এই তথ্য অস্বীকার করলে এবং ওয়েবসাইট থেকে নথি সরিয়ে নিলে সত্য পাল্টাবে না।’’
ওই নথিতে দুই দেশের সামরিক স্তরে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেরও উল্লেখ ছিল বলে জানা গেছে । দ্বিপাক্ষিক ওই বৈঠকে সীমান্ত থেকে দুই দেশের সেনাকে পিছিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে বাড়তি সেনা সরিয়ে নেওয়া-সহ একাধিক বিষয়ে আলোচনার কথা উল্লেখ রয়েছে ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.