হিন্দু-ভোট নিয়ে শেষপর্যন্ত দড়ি টানাটানি শুরু হলো দুই প্রধান রাজনৈতিক দল, কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে।
বিজেপি আগাগোড়াই রামমন্দির আন্দোলন সমর্থন করে এসেছে৷ সঙ্গে যুক্ত। এখন কংগ্রেস বোঝাচ্ছে, বিজেপিকে একা এই মন্দির নির্মাণের কৃতিত্বের ভাগ দিতে তাঁরা রাজি নয়৷
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কমল নাথ বুধবার
দাবি করেছেন, “নরেন্দ্র মোদির ঢের আগে প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর আমলেই প্রথমবার রামমন্দিরের শিলান্যাস হয়েছে।” ভূমিপুজো করে যখন রাম মন্দিরের শিলান্যাস করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, তখনই কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বুধবার এ কথা জানালেন৷ তিনি বলেছেন, “সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজাও খুলে দিতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।”
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে কমল নাথ এদিন বলেছেন, ”আমি শুরু থেকেই বলছি, মন্দির নির্মাণকে সমর্থন করি। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সবার সম্মতিতে এভাবে মন্দির নির্মাণ সম্ভব। ভুলে গেলে চলবে না যে ১৯৮৬-তে রাম মন্দিরের দরজা কিন্তু রাজীব গান্ধীই খুলেছিলেন। ১৯৮৯ সালেই একরকম ভূমিপুজো হয়ে গিয়েছিল। রাজীব ভোটের প্রচারেও রামরাজ্যকেই স্লোগান করেছিলেন।”
জাতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ১৯৮৬ সালে রাজীব গান্ধীর আমলেই প্রথম খুলে দেওয়া হয় বিতর্কিত ওই সৌধের দরজা। উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর সিংকে ওই নির্মাণের দরজা খোলার জন্য রাজীবই রাজি করিয়েছিলেন। তখন থেকেই রামলালার দর্শন করার অনুমতি পাওয়া শুরু করে হিন্দুরা। এর আগে ১৯৮৫ সালে রাজীব গান্ধীর অনুরোধেই প্রথমবার দূরদর্শনে দেখানো শুরু হয় রামায়ণ। এরপর ১৯৮৯ সালে নিজের নির্বাচনী প্রচারে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতিও দেন। এবং সে বছরই রাজীব গান্ধী বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে রাম মন্দিরের শিলান্যাসের অনুমতি দেন। ১৯৮৯ সালের ৯ নভেম্বর ঐতিহাসিকভাবে রামজন্মভূমির অদূরেই মন্দিরের শিলান্যাস করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। সেই অনুষ্ঠানে রাজীব গান্ধী নিজে উপস্থিত না থাকলেও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুটা সিংকে নিজের প্রতিনিধি করে পাঠিয়েছিলেন। যদিও তারপরে আদালতের গেরোয় আর মন্দির নির্মাণের প্রক্রিয়া এগোতে পারেনি। কিন্তু রাজীবের তৎপরতায় যে মন্দিরের প্রথম শিলান্যাস হয়েছিল, তা আজও অস্বীকার করে না হিন্দু সংগঠনগুলি।