বারুইপুর কাছারি বাজারের কাপড় পট্টিতে বিধ্বংসী আগুন। ভস্মীভূত কয়েকশো দোকান। ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা। শর্ট সার্কিট নাকি অন্য কিছু, আগুন লাগার কারণ এখন স্পষ্ট নয়। কিন্তু তার আগেই ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে আলটপকা মন্তব্য করে বাজার গরম করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।
বারুইপুর পৌরসভার অধীনে থাকা কাছারি বাজার অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে প্রোমোটার চক্রের অভিযোগ তুলে রীতিমত মার খেলেন যাদবপুরের বাম বিধায়ক সুজন চক্রবর্তী। করোনা আবহে কঠিন পরিস্থিতিতে অগ্নিকাণ্ডকে সামনে রেখে রাজনীতি করতে আসার অভিযোগে সুজনবাবুকে ঘিরে ধরে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়লো। ঘাড় ধাক্কা থেকে শুরু করে কটূক্তি কিছুই বাদ পড়লো না। রোষের মুখে পড়ে অগত্যা এলাকা ছাড়তে হলো সিপিএম নেতাকে।
আজ, মঙ্গলবার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর সুজনবাবু বেলার দিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। স্থানীয়দের অভিযোগ, সবকিছু মিটে যাওয়ার পর ঘোলা জলে মাছ ধরতে এসেছিলেন যাদবপুরের বিধায়ক। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি সুর চড়িয়ে অভিযোগ করেন, এর নেপথ্যে নাকি প্রোমোটারদের হাত আছে। একথা বলার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যত মারমুখী হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন সেখানকার ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান গৌতম দাসের সঙ্গেও বচসা হয় তাঁর। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন সুজন চক্রবর্তী।
যেহেতু সুজন চক্রবর্তী রাজ্য রাজনীতিতে একজন পরিচিত মুখ, তাই তাঁর উপর এমন হামলার অভিযোগ নবান্নে পৌঁছেতে দেরি হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কানেও চলে যায় ঘটনার খবর। এরপর বারুইপুরের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে এ নিয়ে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সুজন চক্রবর্তীর নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার দেখভালের দায়িত্ব দেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে।




























































































































