আজ রাখি। তবে করোনা পরিস্থিতিতে সব ফিকে। উধাও উৎসবের মেজাজ। সারা বছর ধরে ভাই-বোনেরা অপেক্ষা করে বসে থাকেন দুটি দিনের জন্য -‘ভাইফোঁটা’এবং ‘রাখি’৷ ভাইয়ের মঙ্গল কামনায় বোন কিংবা দিদি তাঁদের হাতে পবিত্র সুতো বেঁধে দেন।
আজ, সোমবার রাখি পূর্ণিমা। সম্প্রীতির রাখিবন্ধন করবে বাম , তৃণমূল, বিজেপি সব রাজনৈতিক দলই। সিপিএম শিবিরের তরফে এসএফআই প্রতি বার রাখিবন্ধন পালন করে। কিন্তু এ বার সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-ও আনুষ্ঠানিক ভাবে রাখির কর্মসূচি নিয়েছে। আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল রাখিবন্ধন কর্মসূচি করবে প্রতি ব্লকে।
আজ সকাল থেকেই রাখি বন্ধন উৎসবে মেতে উঠলেন তৃণমূল নেতা কর্মীরা।একুশের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, রাখি পূর্ণিমার দিনটি সংস্কৃতি দিবস হিসেবে পালন করা হবে। সেই নির্দেশ মেনে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা সকাল থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন। পাড়ার মোড়গুলি সেজে উঠেছে তেরঙ্গা বেলুন আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে। রাখিও মমতাময়। ঘাসফুলের উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। দিদির ভাই-বোনেরা তা পরিয়ে দিচ্ছেন পথ চলতি মানুষজনকে।
রাখি বন্ধনের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সঙ্গে জনসংযোগ হয়ে যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরাও হাজির এই উৎসবে। সেরে নিচ্ছেন পঞ্চায়েতের ভোট প্রচারও। হোর্ডিং-ব্যানারে দেওয়া হয়েছে সম্প্রীতির বার্তা৷ মাইকে রবীন্দ্রসঙ্গীত বাজছে৷ রাখি পরিয়ে মিষ্টিমুখ করানো হচ্ছে৷ ক্লাব ও বিভিন্ন সংগঠনও তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে সামিল।বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও আজ বিধানসভায় সব দলের বিধায়ক এবং বিধানসভার কর্মীদের রাখি পরাবেন। দলের মহিলা মোর্চাও আলাদা করে রাখিবন্ধন পালন করবে নানা জায়গায়। মোর্চার সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায় সীমান্ত এলাকায় সেনা জওয়ানদের হাতে রাখি পরাবেন।
ডিওয়াইএফআইয়ের কলকাতা জেলা কমিটি সম্প্রীতির রাখিবন্ধন করবে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি থেকে নাখোদা মসজিদ পর্যন্ত। সম্প্রীতির সংস্কৃতি চর্চার উদ্দেশ্যেই ব্লকে ব্লকে রাখিবন্ধন করবে তৃণমূলও।
এই বছর করোনা অতিমারীর আবহে অন্যান্য সব উত্সবের মতোই রাখির উত্সবেও কিছুটা ভাটা। তবু ঘরে বসেই পালন হবে ভাই-বোনের এই চিরন্তন উত্সব।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.