রায়গঞ্জ মহারাজাহাটে কাঞ্চন নদীর ওপর তৈরি অ্যাপ্রোচ রোডটি বৃহস্পতিবার জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে । ফলে নদীর ওপারে রায়গঞ্জ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রোগীদের নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। গর্ভবতী মহিলাদের প্রায় ২২ কিমি ঘুরে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যেতে হচ্ছে। অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি কেউই নৌকা বা বাঁশের সাঁকোর ব্যবস্থা করেনি।ফলে সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে রায়গঞ্জের।
স্বাস্থ্য কেন্দ্র, সাপ্তাহিক হাট, পোস্ট অফিস, হাই স্কুল সহ সব কিছুই নদীর ওপারে হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা ।
মহারাজাহাট ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক উত্তম চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন , বাংলাদেশের জল নদীতে চলে আসায় অ্যাপ্রোচ রোডটি ভেঙ্গে পড়েছে। সাতটি অঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে ।বাঁশের সেতু বা নৌকা কোনও ব্যবস্থাই করা হয়নি।ফলে ২২ থেকে ২৫ কিমি ঘুরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে হচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের।
উল্লেখ্য, ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে মহারাজাহাটে কাঞ্চনদীর ওপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে রায়গঞ্জের একটি নির্মাণকারী সংস্থা। কিন্ত দেড় বছর হয়ে গেলেও নির্মাণকাজ আজও শুরু করতে পারেনি তারা। অথচ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা ছিল।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, আধিকারিকেরা প্রায় এসে কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও কাজ শুরু হয়নি। অ্যাপ্রোচ রোডটি ঠিকমতো তৈরি না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ চলাচল করছিলেন । ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সেতুর কাজ শুরু হলেও কয়েক মাস পরেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
অথচ পূর্ত দফতর সেতু নির্মাণের জন্য ৬ কোটি ৮৪ লক্ষ ১৯ হাজার টাকা বরাদ্দ করে দেড় বছর আগে।
রামপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অমল সরকার জানিয়েছেন, আপাতত নৌকা দিয়ে যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হবে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.