কারগিলের যুদ্ধে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছেন ছেলে মাত্র ২১ বছর বয়সে। দেশের সেই বীর সন্তানের মাকে কিন্তু বেঁচে থাকার জন্য এখনও লড়ে যেতে হচ্ছে । বয়স ৮০ পেরিয়েছে । তবু এই বয়সে অশক্ত শরীরে পেটের ভাত জোগাতে করে চলেছেন দিনমজুরের কাজ। বর্তমানে ১০০ দিনের কাজ করে পাওয়া টাকাই বেঁচে থাকার সম্বল অশীতিপর বৃদ্ধার।
সম্প্রতি কারগিল দিবসে দেশের বীর সেনানিদের কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে অন্যান্য রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তবে এ সব কোনও প্রভাব পড়েনি পাঞ্জাবের জাগির কৌরের জীবনে। তাঁর ছেলে নাইক নির্মল সিং জীবন বলিদান দিয়েছেন কারগিলের যুদ্ধে। তার কিছুদিনের মধ্যেই মৃত্যু হয় জাগিরের স্বামী ও আর এক ছেলের। শহিদের বিধবা স্ত্রী ফের বিয়ে করেছেন। কিন্তু তিন ছেলের কারও ঘরেই জায়গা পাননি এই বৃদ্ধা। ফলে এই বয়সে এসে সম্পূর্ণ একা অশিতীপর বৃ্দ্ধা।
এখন মানসা জেলার কুসলা গ্রামে মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি স্কিমে দিনমজুর হিসেবে কাজ করছেন তিনি । জানা গিয়েছে, কারগিলের যুদ্ধের পর শহিদ পরিবারের যে যে পরিষেবা পাওয়া উচিত, সবই পেয়েছে নির্মলের পরিবার। কিন্তু পরিবারের ঝামেলায় জাগিরের দুর্দশা কাটেনি। তাঁর দু বেলা দু মুঠো অন্ন জোগানের জন্য এগিয়ে আসেনি কোনও ছেলে।
কুশলার সরপঞ্জ মনজিত্ সিং তথা সমাজকর্মী আরডিএস সিধু জানিয়েছেন, MGNREGS থেকে পারিশ্রমিক দিয়ে ও আর যেখান থেকে যথাসম্ভব ওই বৃদ্ধাকে সাহায্য করছে গ্রাম পঞ্চায়েত ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। তথ্য বলছে, জাগিরের ছেলে নির্মল ১৫ শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রিতে ছিলেন। কারগিলের যুদ্ধের সময় দেশের জন্য লড়াইয়ের তাঁর মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই থমকে গিয়েছে বৃদ্ধার জীবনের গতি। তার এই দুর্দশার ছবি প্রকাশ্যে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সর্বত্র । সত্যিই তো, এই না হলে শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা!