রাজ্যে ক্রমবর্ধমান করোনার প্রকোপের জেরে প্রতি সপ্তাহে রোটেশন পদ্ধতিতে পৃথক দুটি দিন লকডাউন পালিত হবে বলে নবান্ন থেকে ঘোষণা করেছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন জুলাইয়ের পর গোটা অগাস্ট মাসজুড়ে করোনা মোকাবিলায় এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে। গত সপ্তাহ থেকে রোটেশন লকডাউন শুরু হয়েছে। গত বৃহস্পতি ও শনিবার রাজ্যজুড়ে কঠোরভাবে পালিত হয়েছে লকডাউন। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এ সপ্তাহে বুধবার ফের লকডাউন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় লকডাউন কবে? নবান্ন এখনও তা ঘোষণা করেনি। আর তাই নিয়েই জল্পনা সর্বত্র।
চলতি সপ্তাহে কি আদৌ দ্বিতীয় হবে? বিভিন্ন মহলে কিন্তু সেই প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। বুধবারের পর আরও তিনদিন থাকছে সপ্তাহে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার। কিন্তু শনিবার কোনও ভাবেই লকডাউন সম্ভব নয়। ওইদিন মুসলিম সম্প্রদায়ের ঈদ রয়েছে। আর আগের দিন অর্থাৎ শুক্রবার তাঁরা ঈদের প্রয়োজনীয় কেনা-কাটা করবেন। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম আগেই জানিয়েছিলেন, কোনও সম্প্রদায়ের কোনও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত না করেই রোটেশন পদ্ধতিতে লকডাউন চলবে। ফলে এ সপ্তাহে শুক্র ও শনিবার লকডাউন প্রায় অসম্ভব।
সেক্ষেত্রে হাতে থাকছে শুধুমাত্র বৃহস্পতিবার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা ঘোষিত নয়। তাছাড়া বুধের পর বৃহস্পতিবার ফের লকডাউন হলে টানা দু’দিন রাজ্য স্তব্ধ হয়ে যাবে। সেটা সরকার নাও চাইতে পারে। তবে অপশন আরও একটি আছে। তা হল সপ্তাহের শেষদিন রবিবার। কিন্তু রবিবার এমনিতেই ছুটি থাকে সর্বত্র। রাস্তাঘাটে মানুষ কম দের হন। অবশ্য সকাল ও সন্ধ্যায় দোকান-বাজারে ভিড় করেন মানুষ। কিন্তু রবিবার লকডাউন কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
ফলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, চলতি সপ্তাহে দ্বিতীয় লকডাউন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আজই বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে লকডাউন নিয়ে সরকারি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।





























































































































