ফাঁকা কোচিং সেন্টারের বারান্দায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ! বারুইপুরে চাঞ্চল্য

0
3

রাস্তার ধারে একই বাড়ির মধ্যে ছিল হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের চেম্বার, পাশেই একটি কোচিং সেন্টার। চেম্বার ছিল এক আইনজীবীরও। কিন্তু করোনা আবহে ও লকডাউন পরিস্থিতিতে সেগুলি প্রায়শই বন্ধ থাকে। আর রাতের বেলায় এলাকা শুনশান চেহারা নেয়। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে কোচিং সেন্টারের বারান্দায় অনেক অবৈধ কাজকর্ম চলতো বলে অভিযোগ। এবার রাতের অন্ধকারেই সেখানে ঘটল ভয়ঙ্কর ঘটনা।

বারুইপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যানার্জি পাড়ায় সেই কোচিং সেন্টারের বারান্দা থেকে উদ্ধার মাঝবয়সী এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত দেহ। সকালে রাস্তায় বেরিয়ে স্থানীয়দের চোখে পড়ে সেই দৃশ্য। তাঁরা দেখেন ফাঁকা বারান্দায় পড়ে আছে একটি বিকৃত দেহ। ওই ব্যক্তির শরীরে একাধিক ক্ষত চিহ্ন। তখনও শরীর থেকে রক্ত ঝরছে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বারুইপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থলে যান ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলরও। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে প্রথমে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যায়।

ঘটনা চাউর হতে ওই ব্যক্তিকে বেশ কয়েকজন চিনতে পারেন। খবর পেয়ে মৃত ব্যক্তির পরিবারের লোকও আসে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি ফেরিওয়ালার কাজ করতেন। বাড়ি দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার লক্ষিকান্তপুরে। তবে তিনি থাকতেন ঝিনকির হাটে শ্বশুর বাড়িতে। পরিবারের লোকের দাবি, খুন করা হয়েছে তাঁকে।

প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে, এটা খুনেরই ঘটনা। অন্যত্র খুন করে দেহটি রাতের অন্ধকারে এই ফাঁকা বারান্দায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। কারণ, ওই ব্যক্তি এলাকায় অপরিচিত। তাহলে এখানে তিনি কী করছিলেন? সেই প্রশ্ন থেকেই এমনটা মনে করছে পুলিশ। আশেপাশের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে। জানা যাচ্ছে, অনেকেই ওই ব্যক্তিকে মদ্যপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাই কোনও মদের আসরের বচসা থেকেও ওই ব্যক্তি খুন হতে পারেন বলে পুলিশের একটা সূত্র মনে করছে।