ফের অমানবিক কলকাতা! একের পর এক একই ঘটনা ঘটেই চলেছে। বেহালার পর এবার মঠেশ্বর তলা রোড।
মৃত্যুর পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়িতেই পড়ে রইল  ভাইরাস আক্রান্ত   মৃতের দেহ। পুলিশ-প্রশাসন-স্বাস্থ্যভবনকে জানিয়েও দীর্ঘক্ষণ কোনও ফল মেলেনি বলেই অভিযোগ পরিবারের। এই ঘটনা মঠেশ্বর তলা রোডের ।
জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগেই ভাইরাস পরীক্ষা করা হলে রিপোর্ট পজিটিভ আসে মঠেশ্বর তলা রোডের বাসিন্দা চিনা বংশোদ্ভুত ওই ভারতীয় নাগরিকের। ৬৩ বছরের ওই বৃদ্ধ ছিলেন হোম কোয়ারেন্টাইনে। তাঁর পরিবার সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই বৃত্তের। এরপর স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন মৃতের পরিবারের লোকজন। অভিযোগ, বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হন তাঁরা। পরে যোগাযোগ সম্ভব হলেও ডেথ সার্টিফিকেটের দাবি জানানো হয় স্বাস্থ্যভবনের তরফে। তা না থাকায় নতুন করে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণ পর পুলিশ-পুরসভা-স্বাস্থ্যভবনের টানাপোড়েনের পর অবশেষে দুপুর নাগাদ দেহ উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়রা।
উল্লেখ্য, সোমবারও একই ঘটনা ঘটে বেহালার সাহাপুরে। এক পরিবারের ৫ সদস্যই করোনা আক্রান্ত হন। বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা। রবিবার রাত ১২ টা নাগাদ ওই পরিবারের সদস্য বছর এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। অভিযোগ, রাত থেকে একাধিকবার চেষ্টা করেও পুলিশ-স্বাস্থ্যভবন কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়। শুধু শহর কলকাতাতেই নয়, এমন ঘটনা ঘটেছে জেলাতেও। কোলাঘাটের একটি পরিবারকে একই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়। শেষে ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত বৃদ্ধ বাবাকে বাধ্য হয়ে বাড়ির উঠোনে কবর দেন দুই ছেলে।





























































































































