দিল্লিতে বিজেপির রাজ্য কমিটির পর্যায়ক্রমিক বৈঠকগুলি এখনও পর্যন্ত চলছে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। বিরোধী গোষ্ঠী দিলীপবাবুকে যে বিপাকে ফেলার অঙ্ক কষছিল বলে খবর, এখনও পর্যন্ত তার কোনো ইঙ্গিত নেই।
উল্টে মুকুল রায় মাঝপথেই কলকাতা ফিরেছেন। তা নিয়েও জল্পনা।
প্রথমে রটনা ছিল, বিরোধী গোষ্ঠীর চাপেই দিল্লি বৈঠক ডেকেছে। কোথাও কোথাও খবর হল অমিত শাহের তলবে দিল্লি গেলেন মুকুল।
পরে দেখা যাচ্ছে হাসিমুখে বৈঠক করাচ্ছেন দিলীপ। তাঁর কথায়,” এসব রুটিন বৈঠক। ভোটের প্রস্তুতি। দিল্লির পর্যবেক্ষকদের কলকাতা যাওয়ার সমস্যা হচ্ছিল। জেলায় জেলায় ঘোরাও এখন কঠিন। তাই বৈঠকগুলো দিল্লিতেই সেরে নেওয়া হচ্ছে।”
সূত্রের খবর, বৈঠকে থাকছেন কৈলাস, মেনন, শিবপ্রকাশরা। জেলা ধরে বৈঠক চলছে।
এর মধ্যে মুকুল ব্যাক টু কলকাতা। চোখের সমস্যা। চিকিৎসার বিষয় আছে। মুকুল বলছেন, অন্য কিছু গল্প নেই। অন্য সূত্র বলছে, বৈঠকের হালহকিকতে তিনি বিরক্ত। মজার ব্যাপার, দিল্লিতে মুকুলের বাড়িতে মোদি, শাহের ছবি দেওয়া গাদাখানেক হোর্ডিং একদিনে উধাও। ফলে জল্পনা আরও বাড়ছে।
কোথাও কোথাও নাকি হেমন্তর গান বাজছে,” একূল ভেঙে ওকূল তুমি গড়ো/ যার একূল ওকূল দুকুল গেল তার লাগি কী করো?”
জল্পনার কেন্দ্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়ও। শোনা গেল দিল্লি যাবেন। তারপর শোনা গেল ভিডিওতে থাকবেন। দিলীপ ঘোষ বললেন,” আমরা তো ডাকিনি।”
ফলে সব বিশ বাঁও জলে।
দিল্লির একটি সূত্র বলছে, দিলীপই থাকছেন। বড়জোর দিল্লি দুএকটি পরামর্শ দেবে।
মুকুলকে কাজে লাগানো হবে কোনো কোনো বলছে, কিন্তু কবে আর কীভাবে, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
মুকুল মন্ত্রী হবেন, বড় পদ পাবেন, তিনিই বিজেপির মুখ থেকে শুরু করে একেবারে তৃণমূলে ফিরবেন বলে সবরকম জল্পনাই চলছে। সব অ্যাঙ্গেলে সব মিডিয়ায় একটি করে ব্রেকিং নিউজ হয়ে গিয়েছে।
এদিকে দিলীপ ঘোষ বলছেন,” মুকুলদা জাতীয় নেতা। দিল্লির ব্যাপার। আমরা এটুকু জানি রাজ্য বিজেপি তৃণমূলকে হারিয়ে বাংলায় সরকার গঠন করতে প্রস্তুত।”





























































































































