স্বপন দাশগুপ্ত বিজেপির নেতা। রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ। সাংবাদিক, লেখক, বুদ্ধিজীবী।
দিল্লিবাসী হলেও বাঙালী হওয়ার সূত্রে তিনি হতে পারতেন বিজেপির ইতিবাচক মুখ, যা বিজেপির খুব কম।
মোদি থেকে অমিত শাহ, সবাই পছন্দ করেন স্বপনবাবুকে।
দিল্লিতে থেকে হয়ে উঠছিলেন বঙ্গবিজেপির অভিভাবক।
সকলের ঊর্ধ্বে থাকতে পারতেন তিনি। সব ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উপরে তাঁর জায়গা ছিল।
কিন্তু সূত্রের খবর, রাজ্য বিজেপির একটি গোষ্ঠী তাঁকে নিজেদের ছকের রাজনীতিতে জড়িয়ে পক্ষপাতদুষ্ট ইমেজ করে দিচ্ছে। তাঁর সঙ্গে দেখা করে গোষ্ঠীবাজির আলোচনা করে সেটা তাঁর নাম দিয়ে বাজারে ছাড়ছে। এতে অপ্রিয় হচ্ছেন বর্ষীয়ান স্বপনবাবু। স্বার্থসিদ্ধি হচ্ছে কিছু ছকবাজের। ধারণা হচ্ছে স্বপনবাবু নিজে বাংলার ক্ষমতা চান বলে গোষ্ঠীবাজিতে মদত দিচ্ছেন। কিছু কিছু নেতা মিথ্যে তথ্য দিয়ে স্বপনবাবুকে প্রভাবিত করছে। আর তিনি সর্বজনগ্রাহ্য নেতা থেকে নেমে গোষ্ঠীর নেতায় পরিণত হচ্ছেন।
সূত্রটি বলছে, কেন্দ্রের মন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ- সব হওয়ার ক্ষমতা আছে স্বপনবাবুর। কিন্তু নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য একটি গোষ্ঠী স্বপনবাবুর দিল্লির কানেকশন ব্যবহার করতে গিয়ে তাঁকে গোষ্ঠীর নেতা বানিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের চক্রান্তমূলক কাজকর্মর সঙ্গে স্বপনবাবুর নাম জড়িয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে লাভ হচ্ছে তাদের আর ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে স্বপনবাবুর।
রাজ্য রাজনীতির বাইরে স্বপনবাবু ভালো সম্পর্ক রাখেন বাবুল সুপ্রিয়র সঙ্গে। বাবুলও দিলীপ ঘোষের সঙ্গে একমত হন না। ফলে সেই সুযোগে তাঁকে সেই ছকের গোষ্ঠী কিছু একপেশে তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখন মুকুল রায় যে বাড়িতে থাকেন, সেটি সাংসদ হিসেবে স্বপন দাশগুপ্তর নামে নেওয়া বলে রটনা।
একটি মহল চাইছে বাবুল- স্বপনকে দিয়ে নিজেদের গোষ্ঠীবাজির স্বার্থসিদ্ধি করাতে। ফলে জনপ্রিয় বাবুলের নামও গোষ্ঠীতে জড়ানো হচ্ছে।































































































































