ফের কলকাতা শহরে আত্মহত্যার ঘটনা। এবার শিয়ালদহের ডক্টর আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজের এক শিক্ষানবিশ মহিলা চিকিৎসক আত্মহত্যা করলেন। তাঁর নাম মানসী মন্ডল। বছর ছাব্বিশের ওই যুবতী দন্ত চিকিৎসার সার্জারি বিভাগে শিক্ষানবিশ ছিলেন। স্নাতকোত্তর স্তরের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
তাঁর মৃতদেহ হোস্টেল নিজের রুমের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বিবাহিত ছিলেন । তাঁর স্বামী বেঙ্গালুরুতে থাকেন। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে নীলরতন সরকার হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। কেন এই ডাক্তারি পড়ুয়া আত্মহত্যা করলেন, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে এন্টালি থানার পুলিশ।
সূত্রের খবর, ঘরের ভিতর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে এন্টালি থানার পুলিশ। সেই সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে মানসিক অবসাদের কথা লেখা রয়েছে। সুইসাইড নোটে লেখা, জীবনের প্রতি আসক্তি হারিয়ে গিয়েছিল। স্বামী বেঙালুরুতে থাকেন। মার্চ থেকে দেখা হয়নি। একথা বন্ধু বা রুমমেটদের একাধিকবার মানসী জানিয়েছিলেন বলেও জানা গিয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, এদিন সকালে সোয়া ৯টা নাগাদ বন্ধুদের ফোন করেন মানসী। বছর ছাব্বিশের জুনিয়র ডাক্তার বন্ধুদের তখন জানান যে তিনি এখনই কলেজে যাচ্ছেন না। কয়েকটা ওষুধ খেয়ে তারপর যাবেন। কিন্তু অনেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে কলেজে আসতে না দেখে, শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। হস্টেলের ঘরে খোঁজ করতে এসে ঘরের দরজা খুলতে পারেন না লেডিস হস্টেলের সুপার। বিষয়টি তিনি তখনই কলেজ কর্তৃপক্ষকে জানান। পরে পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে মানসীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। তাঁর স্বামীর সঙ্গে পুলিশ যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে বলে জানা গিয়েছে।




























































































































