
জুন মাসের ৮ তারিখ থেকে রাজ্যে আনলক পর্ব শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে বাড়ছে ছাড়ের সীমা। কিন্তু করোনা সংক্রমণও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে । ফলে ফের লকডাউনের পথে রাজ্য। একটানা নয়, সপ্তাহে দু’দিন। এ পর্বের লকডাউন শুরু হয়েছে আজ, বৃহস্পতিবার। চলতি সপ্তাহে ফের শনিবার লকডাউন হবে। আগামী সপ্তাহে প্রথম লকডাউনের দিন ধার্য হয়েছে বুধবার। দ্বিতীয় দিন পরে ঘোষণা করবে প্রশাসন।
আনলক পর্বে করোনা-বিধি মেনে চলার ব্যাপারে নাগরিকদের মধ্যে শিথিল মনোভাব দেখা গিয়েছে। তাই ফের সম্পূর্ণ লকডাউন সফল করার লক্ষ্যে রীতিমতো কোমর বেঁধেছে পুলিশ-প্রশাসন।
সম্পূর্ণ লকডাউনের অর্থ জরুরি পরিষেবা ছাড়া কেউ যেন রাস্তায় না বেরোন! ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সব কিছুই। তবুও মানুষ কি লকডাউন মানছেন?
ডানলপ, শ্যামবাজার, উল্টোডাঙা মোড় বলুন কিংবা ধর্মতলা চত্বর। সর্বত্র ছবিটা কিন্তু একইরকম ।
সরকারি তো বটেই, দোকানপাট সব বন্ধ । তবু কিছু মানুষ রাস্তায় বেরিয়েছেন, যদিও সেই সংখ্যাটা খুবই কম ।কারণ জিজ্ঞাসা করলে উত্তর দিতে পারেননি অনেকেই। লকডাউন মেনে চলা তো এই পরিস্থিতি সামলে ওঠার জন্যই, সাফ কথা কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের । সব জায়গায় পুলিশি নজরদারি চোখে পড়ার মতো। জরুরি পরিষেবা অথবা সাধারণ চার চাকা, প্রত্যেককেই পড়তে হচ্ছে পুলিশি জেরার মুখে । কাগজপত্র দেখে পুলিশ নিশ্চিত হলেই মিলছে গন্তব্যে যাওয়ার ছাড়পত্র । আমাদের ক্যামেরায় সকাল থেকে সেই ছবি ধরা পড়েছে একাধিকবার ।
কেউ আবার মুখে মাস্ক লাগিয়ে সাইকেল নিয়ে কিংবা বাইক নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন সাতসকালে।অনেকেই দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারের একমাত্র রোজগেরে, তাঁদের হয়তো কাজের তাগিদে বেরোতে হয়েছে। কিন্তু কেতাদুরস্ত গাড়ি নিয়ে সাতসকালে কোথায় চলেছেন? পুলিশকে সদুত্তর দিতে পারেননি গাড়ির মালিকও। সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে ক্যামেরায়।
তবে আগের তুলনায় বৃহস্পতিবারের লকডাউনে শহরের মানুষ সাড়া দিয়েছেন । দু-চারটি ক্ষেত্র ছাড়া, সাধারণ মানুষ পথে বের হননি। সকাল থেকে দফায় দফায় বৃষ্টিতেও কিন্তু নি:শব্দে কাজ করে চলেছেন পুলিশ কর্মীরা । এই লকডাউন আদৌ সংক্রমণ ঠেকাতে কতটা কার্যকরী হল তা সময়ই বলবে। আপাতত রাজ্য প্রশাসনের ডাকে সাড়া দিয়ে ফের লকডাউনে শহর কলকাতা ও তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল কিন্তু নিজেদের গৃহবন্দি রেখেছে।
ছবি- দেবস্মিত মুখার্জি