সারা দেশের মতো বাংলাতেও করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। তাই মহামারি মোকাবিলায় বাধ্য হয়েই ফের পূর্ণাঙ্গ লকডাউনের পথে হাঁটতে হলো রাজ্য সরকারকে। আপাতত রোটেশন পদ্ধতিতে সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউন হবে রাজ্যজুড়ে। চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার দিয়ে তা শুরু হলো। নবান্নের ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী শনিবার ও পরের সপ্তাহে বুধবারও পালিত হবে লকডাউন।
এদিনের লকডাউনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে কলকাতা-সহ জেলাগুলিতে। রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান ছিল। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে লকডাউন মানলেও এখনও বেশকিছু অসচেতন মানুষ বিষয়টিকে হালকাভাবেই নিচ্ছে। আর তাদের এই অসতর্কতার জন্যই মহামারির ঝুঁকি আরও বেড়ে যাচ্ছে। “কারণ” ছাড়া এদিনও রাস্তায় বেরিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু এবার আরও কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামতে দেখা গেল পুলিশ প্রশাসনকে।
কলকাতা শহরজুড়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েছে পুলিশ। লকডাউন কার্যকর করতে ডিসি পদ মর্যাদার আধিকারিক পর্যন্ত রাস্তায় নেমেছিলেন। কোথাও নাকা চেকিং, কোথাও ড্রোন আবার কোথাও টহলদারিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েছে এমন অনেক অসচেতন মানুষ।
আর লকডাউন ব্রেক করার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত শুধু কলকাতাতেই আটকও করা হয়েছে ৮৮৬ জনকে! বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৩০টি গাড়ি। এখানেই শেষ নয়, মাস্ক না পরে রাস্তায় বেরোনোর জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৫৫২ জনকে। প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যেও আর কোনও ছাড় নয়। এদিন প্রকাশ্যে থুতু ফেলার জন্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ৪০ জনকে!




























































































































