বাংলাদেশের টাঙ্গাইলে ২০১৪-র ১৪ সেপ্টেম্বর বধূ মন্টি ঘোষকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অভিযোগে স্বামী রনি ঘোষ-সহ তার পরিবারের বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন মৃতার বাবা শ্রীনিবাস ঘোষ।
২০১৩ সালের ৩০ জুন গাজিপুরের নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টির সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রবি ঘোষের ছেলে রনির বিয়ে হয়।
বিয়ের আড়াই মাস পর স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ।
এরপরের বছর ২০১৪ সালের
১৪ সেপ্টেম্বর রনি ঘোষ তাঁর স্ত্রী মন্টি ঘোষে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এই হত্যা মামলায় বাংলাদেশের টাঙ্গাইল সদর মডেল থানার পুলিশ তদন্তে নামে।
মামলা চলাকালীন রনি ঘোষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন এবং তারপর থেকে আত্মগোপন করেন।
২০১৯-এর ১৪ অক্টোবর টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন রনিকে মৃত্যুদণ্ডের দেন এবং সঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
কিন্তু বহুদিন থেকেই সেই রনি ঘোষ আত্মগোপন করে কোচবিহারের নাজিরহাট এলাকায়।
বুধবার রাতে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ গভীর রাতে সেই বাড়িতে হানা দেয় এবং অভিযুক্ত রনি ঘোষকে গ্রেফতার করে। তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কোচবিহার জেলা পুলিশ সুপার ডক্টর সন্তোষ নিম্বলকর জানান, বাংলাদেশ থেকে অপরাধ করে আসা এক ব্যক্তিকে দিনহাটা থেকে ধরা হয়েছে। তাঁকে ফেরানোর ব্যবস্থা চলছে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.