মহামারি আর বন্যা, এই দুইয়ে মিলে অত্যন্ত শোচনীয় অবস্থা কাজিরাঙার। গোটা অসমই যেখানে কার্যত জলের তলায়, সেখানে বন্যার জেরে ২১০ জন মানুষের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছে কাজিরাঙার ১১টি গন্ডার সহ ১২০টি বন্যপ্রাণীও। প্রায় ২০০টি প্রাণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে অসমের বন দফতর। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল কাজিরাঙায় গিয়েছিলেন।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অসমের বন্যায় প্রায় ৭০ লক্ষেরও বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গোটা অসমে যখন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে উঠছে, তখন বন্যা পরিস্থিতিও আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। রাজ্যের কাছে দুটোই কঠিন চ্যালেঞ্জের। এখনও মানুষ কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। 
জাতীয় উদ্যানের ডিরেক্টর পি শিবকুমার বলেছেন, “গত বেশ কয়েক বছরের মধ্যে এটাই কাজিরাঙায় হওয়া সব থেকে ভয়াবহ বন্যা। এখনও পর্যন্ত ১৩১টি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। ২০০টি প্রাণীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ বছর মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই বন্যা হচ্ছে অসমে। বর্ষার আগেই ঘূর্ণিঝড় উম্পুনের দাপটে তিন দিনের প্রবল বৃষ্টিতে রাজ্যের ২১ জেলায় বন্যার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই বন্যার জল নামতে না নামতেই আবার ফের বন্যা দেখা দিয়েছে অসমে। রাজ্যবাসীকে সবরকম সুবিধা ও সর্বত ভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মানুষের পাশে রয়েছে রাজ্য সরকারও।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.





























































































































