শচীন পাইলট একটা আস্ত অকম্মার ধাড়ি। লোকের মধ্যে বিবাদ বাধানো ছাড়া আর কোন কাজটা করেছে? সাত বছর ধরে রাজস্থানে দলের শীর্ষ পদে থেকে সেই দলকেই পিছন থেকে ছুরি মেরেছে। উপ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গোষ্ঠীবাজি করা ছাড়া আর কোনও কাজ ছিল না। কূটকাচালির বাইরে অন্য কোনও কাজ করার যোগ্যতাই ওর নেই। সোমবার কংগ্রেসের বিদ্রোহী নেতা শচীন পাইলট সম্পর্কে ঠিক এই ভাষাতেই নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। রাজস্থান হাইকোর্টে যখন কংগ্রেস বনাম কংগ্রেস লড়াই ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে, তখন পাইলটকে তীব্র ব্যক্তিগত আক্রমণ করলেন গেহলট। এর পর স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি কংগ্রেস ত্যাগ অনিবার্য পাইলটের সামনে? কারণ গেহলট কংগ্রেস হাইকমান্ডের সবুজ সংকেত ছাড়া ধারাবাহিকভাবে পাইলটকে আক্রমণ করছেন, এটা ভাবা ভুল।
সোমবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অপসারিত উপ মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রদেশ সভাপতি পাইলট সম্পর্কে বলেন, সরল মুখ, ইংরাজি আর হিন্দি ভাষায় উপর দখল এবং মিডিয়ায় প্রভাব থাকলেই কেউ জনগণের নেতা হয়ে যায় না। রাজস্থানের মানুষের জন্য শচীন পাইলটের কী অবদান, তা এরাজ্যের মানুষকে জিজ্ঞেস করলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে থেকেও দলের জন্য কিছুই করেনি। তাও আমি সবসময় দলীয় কর্মীদের বলতাম, ওকে যেন উপযুক্ত সম্মান দেওয়া হয়, সবাই যেন ওকে সহযোগিতা করে। তার পরেও প্রথম দিন থেকে নিজের দলের সরকারকেই বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করে গিয়েছেন উনি। পদে পদে অসহযোগিতা করেছেন। কোনও প্রদেশ সভাপতি নিজের দলকেই পিছন থেকে ছুরি মারছে, এমন কেউ দেখেছে? গেহলটের দাবি, রাজস্থানের বড় কর্পোরেট হাউসগুলো মোদিকে খুশি করতে কংগ্রেস বিরোধী কাজকর্মে টাকা জোগাচ্ছে। আর পাইলট ভাবছেন বড় মিডিয়া হাউসের সাহায্য পেলেই সব হয়ে যাবে!