মোহনবাগান ক্লাব মানে ঐতিহ্য । আর সেই মোহনবাগান ক্লাব ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়েই কর্পোরেট হাউজ- এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আগামী দিনে এশিয়ার সেরা ক্লাব হওয়া লক্ষ্য বলে স্পষ্ট জানালেন, সবুজ মেরুণ এর অর্থ সচিব দেবাশীষ দত্ত। মোহনবাগান সচিব সৃঞ্জয় বোস জানালেন, শেষ পর্যন্ত ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যেতে গেলে অর্থের সংস্থান জরুরি। তাই মোহনবাগান গাঁটছড়া বেঁধেছে এটিকে-র সঙ্গে । সোমবার সবুজ-মেরুণের প্রাণপুরুষের জন্মবার্ষিকীতে রক্তদান শিবিরে এই মন্তব্য করেন মোহনবাগানের দুই কর্তা।
উত্তর কলকাতার হেদুয়া পার্কে উত্তরের মোহনবাগানের উদ্যোগে এই শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জন মিত্র কন্যা সোহিনী মিত্র চৌবে , বিশিষ্ট সাংবাদিক কুণাল ঘোষ, প্রাক্তন ফুটবলার গৌতম চৌবে, আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী প্রমুখ ।
আগামী দিনে মোহনবাগান মাঠে এই অনুষ্ঠান নিয়ে যেতে চান দেবাশীষবাবু । তিনি স্পষ্ট জানালেন, অঞ্জনদার মতো মানুষকে আজকের দিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনের এই প্রয়াস যাতে আরও মোহনবাগানীদের মধ্যে পৌঁছে দেওয়া যায় সেই চেষ্টা করবেন তারা। তার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন সচিব সৃঞ্জয় বোস।
প্রয়াত সবুজ মেরুণ সচিবের কন্যা সোহিনী মিত্র চৌবে বলেন, আমার বাবার প্রতি মোহনবাগান ক্লাবের এই শ্রদ্ধার্ঘ্য আমাকে অভিভূত করেছে। আমরা কৃতজ্ঞ মোহনবাগানের কাছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ বলেন, মোহনবাগানের প্রাণপুরুষের জন্মবার্ষিকীতে এর চেয়ে ভাল শ্রদ্ধার্ঘ্য আর হয় না। একজন মোহনবাগানী হিসেবে তাই আমি গর্বিত। সবুজ মেরুণ এর এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য সিদ্ধার্থ রায় জানান, যার হাত ধরে এই মোহনবাগান তাঁবুতে পা রাখতে পেরেছি তার জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করতে পেরে কৃতজ্ঞ।
সোমবার সকাল থেকে হেদুয়া পার্কে এই রক্তদান শিবিরকে ঘিরে ছিল মানুষের উৎসাহের ঢল । মহামারীর আবহে লকডাউনের সমস্ত নিয়মবিধি মেনেই হল রক্তদান শিবির । রক্তদাতা থেকে উদ্যোক্তা প্রত্যেকের সঙ্গী ছিল মাস্ক, স্যানিটাইজার। সবাই চেষ্টা করছিলেন সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মেনে শিবির পরিচালনার । প্রায় 70 জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। উত্তরের মোহনবাগানের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সবাই ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.