টার্গেট পুজো। তার আগেই মাঝেরহাট ব্রিজ চালু করতে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন কর্মীরা, পূর্ত দফতর। করোনায় কর্মী সঙ্কটের সমস্যা কাটিয়ে পূর্ত দফতর এই কাজ শেষ করতে চাইছে। কারণ, ব্রিজ চালু হয়ে গেলে উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার যোগাযোগের বিস্তর হ্যাপা কার্যত শেষ হয়ে যাবে। ৬৫০ মিটার দীর্ঘ ব্রিজ। বর্ধমান রোডের দিক থেকে শুরু করে আলিপুর মিন্ট পর্যন্ত যে ঝুলন্ত অংশ, সেটাই ছিল চ্যালেঞ্জের। মাস দেড়েক সময়ে ঝুলন্ত ব্রিজের কাজ শেষ করা গিয়েছে। ব্রিজের সঙ্গেই খিদিরপুরে নিকাশির বড় পাইপ বসানোর কাজ হচ্ছে। আবার মাঝেরহাটের পিলারের গা ঘেঁষে যাচ্ছে বিশুদ্ধ জলের পাইপ। দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও অরূপ বিশ্বাস সারাক্ষণই কাজের তদারকিতে রয়েছেন। তাঁরাও জানেন, ব্রিজের নিচের নিকাশি পাইপ না বসালে বৃষ্টির জমা জলে দুর্ভোগ অব্যাহত থাকবে। সময়ে কাজ শেষ করার ক্ষেত্রে বাধা অবশ্যই লাল ফিতের ফাঁস। রেল লাইনের উপর সেতু বানাতে কেন্দ্রের অনুমতি পেতে প্রায় বছর গড়িয়ে যায়। ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বরের বিকেলে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ে।