দলের ত্রাণের কাজে কারা টাকা দিয়েছে, জানতে চাইল সিপিএম

0
1

যাদবপুরের বহু আলোচিত শ্রমজীবী ক্যান্টিন-সহ রাজ্যের একাধিক জায়গায় রান্না করা এবং শুকনো খাবার তুলে দিতে গণসংগ্রহ করতে নেমে কত টাকা উঠেছে, কারা টাকা দিয়েছে, তার হিসেব নিতে শুরু করেছে আলিমুদ্দিন।

রাজ্যস্তরে এমন বেশ কিছু অভিযোগ এসেছে যে এ ধরনের ত্রাণকার্যে ‘বিতর্কিত’ লোকজনের কাছ থেকে আর্থিক সাহায্য নেওয়া হয়েছে৷ দলীয় সূত্রের খবর,
এব্যাপারে ৫৩টি এরিয়া কমিটিকে নির্দিষ্টভাবে
হিসাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শুধুই টাকা নয়, চাল, আটা বা অন্যান্য সামগ্রীই বা কত জমা পড়ছে, সেই হিসেবও দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ জুলাই মাসের মধ্যে এই হিসাব জমা করতে বলা হয়েছে। আলিমুদ্দিন সূত্রের খবর, যাদবপুরের শ্রমজীবী ক্যান্টিন থেকে এখন দৈনিক ৫০০-র বেশি মানুষকে খাবার দেওয়া হচ্ছে ২০ টাকার বিনিময়ে। মূলত দলের ছাত্র ও অন্যান্য কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তরুণরা এই কাজ শুরু করেছিলেন। এই কাজে নগদ ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট মিলিয়ে লাখ ১৫ টাকা উঠেছে। এছাড়া কয়েক লক্ষ টাকার খাদ্যসামগ্রীও পেয়েছে। এলাকাভিত্তিক ত্রাণ বিলি করেও কেন দলের তরফে এই হিসেব চাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে জল্পনাও শুরু হয়েছে৷ সম্প্রতি সিপিএমের বা গণ-সংগঠনগুলির ত্রাণবিলির কাজে উৎসাহ দিতে অনেক মানুষই অর্থ দিচ্ছেন৷ কিন্তু তাঁদের মধ্যে বেশ কিছু ‘বিতর্কিত’ ব্যক্তি রয়েছেন বলে খবর এসেছে দলের কাছে। এঁদের মধ্যে নন্দীগ্রাম- সিঙ্গুর-লালগড়ে বাম সরকার উৎখাত করার আন্দোলনে মোটা টাকা সাহায্য করেছেন এমন ‘নামজাদা’ লোকজনও রয়েছেন। এই ঘটনায় জেলা পার্টিতেও প্রশ্ন উঠেছে। তাই ঠিক কারা, কত টাকা এই ধরনের ত্রাণকার্য চালাতে দিয়েছেন, তার হিসাব চেয়েছে দল৷ এ ছাড়া, টাকা ও সামগ্রী দিয়ে কত মানুষ এবং কোন ধরনের মানুষ এই ত্রাণকার্যে সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়েছে তাও জানতে চাইছে দল। এরিয়া কমিটিগুলিকে বলা হয়েছে, এই হিসেবের তালিকা জেলায় দিলে দলের তরফে দাতাদের একটি অভিনন্দনবার্তা পাঠানো হবে। সেই সঙ্গে স্থানীয় নেতৃত্বকে সাহায্যের অঙ্ক উল্লেখ করে পৃথক একটি প্রাপ্তিস্বীকার পত্র দিতে হবে দাতাদের। দল মনে করছে, এর ফলে কারচুপি হয়ে থাকলেও, তা ধরা পড়বে৷