মুক্তি পেতেই সুপারহিট চাঁদমণির ‘JUDAAIYAN VE’

0
1

গত মাসেই পান্ডুয়া খন্যানের বড় মুন্টি গ্রামের আদিবাসী কিশোরী চাঁদমণি হেমব্রমের গাওয়া দু’টি গান সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়।

সোশ্যাল মিডিয়ার পরে রেকর্ডিং স্টুডিয়ো। আর এক কদম এগিয়ে যায় চাঁদমণি। পঞ্জাবের বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও কম্পোজার আয়শান আদ্রির নির্দেশে বর্ধমানের একটি স্টুডিয়োতে গিয়ে একটি হিন্দি গান রেকর্ড করে চাঁদমণি। লকডাউন এর পরেই এই গান মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। সংগীত পরিচালক আয়শান আদ্রির পরিচালনায় আরবান স্বরাজের লেখা এবং জাভেদ লাকি খান এবং হেমন্ত রাজপুতের প্রযোজনায় চাঁদমণির কণ্ঠে মুক্তি পেয়েছে ‘JUDAAIYAN VE’। মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই একেবারে সুপার হিট গানটি।
গান গাওয়ার প্রথাগত কোনও তালিম নেই চাঁদমণির। কিন্তু গাওয়ার অনায়াস ভঙ্গি খুব পছন্দ হয় সকলের। নেট-দুনিয়ার নাগরিকেরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মেয়েটিকে।

মামার মোবাইলেই গান শুনে চর্চা চলে চাঁদমণির। তার নিজের ঘরে কোনও মোবাইল নেই। তার সেই গান শুনেই গত মাসে ত্রাণ বিলি করতে আসা শ্যাম হাঁসদা নামে এক আদিবাসী যুবক মোবাইলে রেকর্ড করে তা ফেসবুক, ইউটিউবে ছড়িয়ে দেয়। তারপরেই তা ‘ভাইরাল’।

পঞ্জাব থেকে ফোনটা এসেছিল শ্যামের কাছেই। তিনিই চাঁদমণিকে নিয়ে বর্ধমানের স্টুডিয়োতে যান। তাঁর কথায়, ‘‘ওখানেও সবাই ওর গানের খুব প্রশংসা করেছেন। রেকর্ডিংটা আমি পঞ্জাবে পাঠিয়েও দিয়েছি। আয়শান আদ্রি ওই গানটা নিয়ে কী করবেন, তা অবশ্য জানি না।’’ এবার মুক্তি পেল চাঁদমণির গাওয়া গানটি। এই গানটিও পছন্দ হয় সকলের। গানটিকে প্রশংসা পাওয়ার পর এক চিলতে বাড়ির মাটির দাওয়ায় বসে চাঁদমণি বলে, “আমার স্বপ্ন পূরণ করেছেন সংগীত পরিচালক আয়শান আদ্রি এবং শ্যাম হাঁসদা স্যার। আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।”