হেমতাবাদের বিধায়কের মৃত্যুর কারণ নিয়ে রাজ্য রাজনীতি যখন সরগরম, তখনই ধৃত নিলয় সিংহকে জেরা করে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য । জেরায় জানা গিয়েছে, নিজের পরিচালিত ব্যাঙ্ক থেকেই বেলাগামভাবে ঋণ নিয়েছিলেন প্রয়াত বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। এমনকি ঋণ পেতে সাহায্যও করেছিলেন আত্মহত্যার ঘটনায় ধৃত নিলয় সিংহকে। এই ঋণের পরিমাণও নেহাত কম নয় । পুরোটাই আজও অনাদায়ী। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এই ঋণ পরিশোধ করতে না পারার মানসিক চাপেই কী আত্মঘাতী হন বিধায়ক?
তার মৃত্যুর তদন্তে নেমে সিআইডি অফিসারেরা মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোহিনীগঞ্জ হাটের কৃষি সমবায় ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন কর্মীকে জেরা করেন।
জানা গিয়েছে, বিধায়ক নিজের নামে ৫টি অ্যাকাউন্ট খুলে ঋণ নিয়েছেন বেলাগামভাবে। ৭ জুলাই পর্যন্ত সুদ–সহ দেবেনবাবুর মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছিল ৫ লক্ষ ৩০ হাজার ৮২৭ টাকা। ধৃত নিলয় সিংহের ঋণের পরিমাণ ৮ লক্ষেরও বেশি। বড়বার–বালিয়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির মোহিনীগঞ্জের মিনি সমবায় ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ার শিবু মাহাতো জানিয়েছেন, বিধায়কের সুপারিশের সূত্রেই ঋণ দেওয়া হয়েছিল নিলয় সিংহকে। বিধায়কের শার্টের পকেট থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটের সূত্র ধরে নিলয় সিংহকে গ্রেফতার করে সিআইডি । ওই নোটে মামুদ আলির নামও ছিল। বিধায়কের স্ত্রী চাঁদিমা রায় এই দুজনের নামেই পুলিশের অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
রায়গঞ্জের মুখ্য বিচারবিভাগীয় আদালতের সহকারী সরকারি আইনজীবী পিন্টু ঘোষ জানিয়েছেন, চাঁদিমার অভিযোগের ভিত্তিতে ৩০২ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে ধৃত নিলয়ের বিরুদ্ধে। আদালত তাকে ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার ব্যাঙ্কের হিসাবের খাতা নিয়ে ক্যাশিয়ারকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে উত্তর দিনাজপুরের অ্যাসিস্ট্যান্ট রেজিস্ট্রার অফ কো–অপারেটিভ সোসাইটিজ। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি, তাতে বিধায়কের মৃত্যু রহস্যের জট দ্রুত খোলা যাবে এবং আসল সত্য প্রকাশ্যে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.