চারপাশে কেউ নেই৷ শুনশান এলাকা৷ তার মধ্যেই সকাল থেকে ভেসে আসছিল কান্নার আওয়াজ৷ ভুতুড়ে কাণ্ড মনে করে এদিক-ওদিক তাকিয়ে কবরের সামনে যাওয়ার সাহস পাচ্ছিলেন না কেউই। এক-দুজন কাছে যেতেই মনে হল কেউ যেন বাঁচার জন্য কেঁদেই চলেছে ৷ শেষ পর্যন্ত সাহস করে কবর খোঁড়া হল৷আর কবর খুঁড়তেই সকলের চোখ ছানাবড়া৷সেইসঙ্গে বুক ধরফড়৷ কবর থেকে বেরিয়ে এল জীবন্ত শিশুর দেহ৷ ভাবছেন ভুতুড়ে গল্প ? বা কোনও সিনেমার প্লট৷ টানটান রহস্য রোমাঞ্চ গল্প থেকে এই বাস্তব ঘটনা যে কোনও অংশে কম নয়। করোনাভাইরাসের আক্রমণে দেশ জুড়ে যখন সব হারানোর কান্না, তখনই উঠে একটি অমানবিক কাহিনী।
কন্যা সন্তান হওয়ায় সম্ভবত সেই কারণেই তাকে জ্যান্ত মাটিতে পুঁতে দেয় তার বাবা-মা। এই নিন্দনীয়, অমানবিক, চূড়ান্ত লজ্জাজনক ঘটনার সাক্ষী মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ।
ওই জেলার নান্দেদ এলাকার একটি বাড়ির পাশ থেকে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। তারপরেই শিশুটিকে মাটি খুঁড়ে উদ্ধার করেন তাঁরা। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেন ঔরঙ্গাবাদের সাংসদ জলিল আহমেদ। বিদ্যুতের গতিতে তা ছড়িয়ে পড়ে। এভাবে শিশুটিকে জ্যান্ত মাটিতে কবর দেওয়ার মতো ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।
ঔরঙ্গাবাদের সাংসদ জলিল আহমেদ জানিয়েছেন, শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এলাকার বাসিন্দাদের তৎপরতায়। তাঁকে উদ্ধার করার পর স্থানীয় পুলিশকে সম্পূর্ণ বিষয়টি জানানো হয়।
জলিল আহমেদ বলেন, “শিশুকন্যাদের সুরক্ষিত করার কথা আমরা শুধুমাত্র মুখে বলি। যারা এই কাজ করেছেন তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। তবেই মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছবে।” আপাতত কন্যা সন্তানটির অবস্থা স্থিতিশীল ।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.