প্রেমিক হিসেবে তিনি বেশ সফল। তাঁর হাত ধরেই তার প্রেমিকার রুপালি পর্দায় আগমন। পরপর জুটি বেঁধে ছবি উপহার। এসব ভালোই চলছিল কিন্তু হঠাৎ কেন যে বান্ধবীকে ইম্প্রেসড করতে কবিতা লিখতে গেলেন দেব! আর সেটা লিখেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হয়েছেন টলিউডের সুপারস্টার। কবিতা নিয়ে রুক্মিণীর সঙ্গে তাঁর কথা হচ্ছিল। সেখানেই কবিতা লেখা কোন ব্যাপারই না এমন ভাব করে দেব চার লাইনের একটি কবিতা লেখেন। কবিতাটির বঙ্গানুবাদ করলে দাঁড়ায়-
‘একটা গাছ ছিল। একটা চারা ছিল।
গাছটি চারাকে জিজ্ঞেস করল, তুমি কেমন আছো?
চারাটি জবাব দিল, আমি ঠিক আছি, তুমি কেমন আছো?
নিজের টুইটার হ্যান্ডেল এই কবিতা পোস্ট করেন খোদ দেবের বান্ধবী রুক্মিণী মৈত্র। আর পোস্ট করে নিজেই প্রথম সেটিকে ট্রোল করেন। আর তারপরে এই পোস্ট ঘিরে বয়ে যায় ট্রোলের বন্যা। কী লিখেছেন? কেন এরকম কবিতা লিখলেন? কেউ বলছেন প্রচন্ড মজার বিষয়। তার উত্তরে রুক্মিণী বলেছেন, “এটাতে মজা লাগছে, এটা অত্যাচার”।
হাসির ফোয়ারা ছুটছে এই পোস্টকে ঘিরে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, টলিউডের এই হ্যান্ডসাম হাঙ্ক হঠাৎ নিজেকে কবি হিসেবে দাবি করতে চাইলেন কেন? না কি তিনি ভেবেছিলেন, অভিনয়, নাচের পাশাপাশি কবিতাটাও তিনি অনায়াসে লিখে ফেলতে পারেন!
I was discussing my love for poetry with @idevadhikari
So he said, he too is a poet at heart!
And this is what he sent me after 5 minutes, saying he wrote it.
I have nothing to say.
I just want the world to know what he puts his friends through. ????????♀️??♀️??♀️??♀️???????? pic.twitter.com/tPHsvsludl— RUKMINI MAITRA (@RukminiMaitra) July 13, 2020
সোমবার রুক্মিণী টুইটারে দেবের লেখা কবিতা পোস্ট করে লেখেন- “দেব বলল সেও নাকি মন থেকে একজন কবি! আর পাঁচ মিনিট পর দেখুন আমাকে কী পাঠাল! বলল এটা না কি ও লিখেছে। আমার আর কিছু বললবার নেই। আমি শুধু দুনিয়াকে জানাতে চাই দেখুন ওঁর বন্ধুদের কোন অবস্থার মধ্যে ফেলে ও”।
রুক্মিনী প্রকাশ্যে দেবকে ট্রোল করায় হেসে লুটোপুটি খাচ্ছেন অনুরাগী ও টলিউডের বন্ধুরাও।
রুপোলি পর্দায় রুক্মিনীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই পাঁচটি ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন দেব। চ্যাম্প, কবীর, ককপিট, কিডন্যাপ এবং পাসওয়ার্ড ছবিতে এই জুটিকে দেখেছে দর্শক। তাঁদের প্রেমপর্বটা চলছে জমিয়ে। সম্প্রতি রুক্মিণীর জন্মদিনে পাশে ছিলেন দেব। তাঁকে আর মাকে নিয়ে কেক কাটেন টলিউডের এই অভিনেত্রী। কিন্তু দেবের এই কাব্য প্রতিভা রুক্মিণীকে সর্বসমক্ষে তাঁকে নিয়ে মজা করা থেকে বিরত করতে পারেনি।