বক্তা পাওয়া যায়নি, তাই আলিমুদ্দিনে এবার ব্রাত্য পিডিজি

0
1

রবিবার রাত পর্যন্ত নাকি কোনও বক্তা’ই পাওয়া যায়নি। তাই আলিমুদ্দিনে আজ, ১৩ জুলাই ব্রাত্য থাকছেন প্রমোদ দাশগুপ্ত৷

১৯১০ সালের আজকের দিনেই অবিভক্ত বাংলার কৌরপুর গ্রামে একটি বৈদ্য পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন প্রমোদ দাশগুপ্ত৷ দলীয় বৃত্তে অনেকেই তাঁকে ‘পিডিজি’ বলে সম্বোধন করতেন৷
১৯৬৪ সালে সিপিএমের জন্মলগ্ন থেকে ১৯৮২ সালের ২৯ নভেম্বর, তাঁর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটের রাজ্য সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পলিটব্যুরোরও সদস্য ছিলেন৷ কোনও নির্বাচনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি৷ তাঁর নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসে এবং তাঁর মৃত্যুর পরেও কয়েক দশক পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল হিসাবে ক্ষমতায় থাকে৷

গত ৮ জুলাই ভার্চুয়ালি
জ্যোতি বসুর জন্মদিন পালন করেছিলো রাজ্য সিপিএম৷ আগাম সব ব্যবস্থা পাকা করেই এই অনুষ্ঠান হয়েছে৷ ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য রাখেন সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি৷ কিন্তু আজ প্রমোদ-স্মরণে তেমন কোনও আয়োজনই নেই আলিমুদ্দিনে৷ হয়তো তেমন আগ্রহই ছিলো না৷ মহামারির আবহে জ্যোতি বসুকে না ভুললেও প্রমোদ দাশগুপ্ত সেই সুযোগ এবার পেলেন না৷ তাঁর জন্মদিবসে কার্যত কিছুই করছে না দলের রাজ্য নেতৃত্ব ৷

সংগঠনে পিডিজি’র প্রবাদপ্রতিম অবদানকে স্বীকৃতি দিতে প্রতি বছর ১৩ জুলাই আয়োজন করা হতো প্রমোদ দাশগুপ্ত স্মারক বক্তৃতার। দলের কলকাতা জেলা কমিটি এত বছর ধরে ১৩ জুলাই প্রমোদ দাশগুপ্তকে
স্মরণ করতো৷ এতদিন এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাজনৈতিক বার্তা দিয়েছেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, প্রকাশ কারাত, সূর্যকান্ত মিশ্র, সীতারাম ইয়েচুরিরা৷ এবার এসব অতীত৷ এ বার অনিবার্য কারণে তা হচ্ছে না।
মহামারি এবং লকডাউনে প্রকাশ্য সভা করা যেতো না ঠিকই, কিন্তু ভার্চুয়াল সভা তো হতেই পারতো ? এমন নয় যে দুম করে মহামারির আবহ তৈরি হয়েছে৷ তাহলে প্রমোদ দাশগুপ্তকে বিশেষ দিনে কেন ব্রাত্য করলো রাজ্য সিপিএম, তা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন উঠেছে৷

কলকাতা জেলা সিপিএমের সাফাই, এদিনের জন্য কোনও বক্তার ব্যবস্থা রবিবার রাত পর্যন্ত করে ওঠা যায়নি।
সিপিএম এখন চেষ্টা করছে দু’দিন পরের অন্য কোনও কর্মসূচিকে ‘প্রমোদ দাশগুপ্তের স্মরণ অনুষ্ঠান’ বলে দাগিয়ে দিতে৷ শোনা যাচ্ছে, ১৫ তারিখ পিডিজি-র জন্য একটা সভা করতে পারে আলিমুদ্দিন। দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বক্তা হিসাবে থাকবেন৷