অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের নিয়ে জয়পুরে বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। সেই বৈঠকে থাকছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও উপ মুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা। গেহলটের সঙ্গে আর কোনও সমঝোতায় যেতে রাজি নন রাজস্থানের জনপ্রিয় নেতা পাইলট। সূত্রের খবর, পাইলটের সমর্থনে কংগ্রেসের ৩০ জন বিধায়ক রয়েছেন। পাশাপাশি সরকার বদলের ইঙ্গিত পেয়ে বেশ কয়েকজন নির্দল বিধায়ক পাইলটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই মুহূর্তে বিজেপি ও তাদের সহযোগীদের আসনসংখ্যা ৭৫। অন্যদিকে নির্দলদের সমর্থন নিয়ে কংগ্রেসের পক্ষে বিধায়ক ১০৭। কংগ্রেসের ৩০ জন ও প্রায় ১৩ জন নির্দল পাইলট শিবিরে ভিড়তে পারেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে তিন মাস আগের মধ্যপ্রদেশের পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি হতে পারে মরুরাজ্যে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয়, গেহলট ও পাইলটের দীর্ঘদিনের সমস্যার কথা জেনেও নিষ্ক্রিয় গান্ধী পরিবারের সদস্যরা। কাজের ক্ষেত্রে সমস্যা নিয়ে গেহলটের বিরুদ্ধে পাইলট অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে সময়ই দেননি কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। আর এখন বেকায়দায় পড়ে রণদীপ সুরজেওয়ালা ও অজয় মাকেনের মত রাহুল গান্ধীর ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে জয়পুরে পাঠানো হয়েছে। যদিও তাঁদের দৌত্যকে পাত্তাই দিচ্ছেন না প্রবল ক্ষুব্ধ পাইলট। জানা যাচ্ছে, অনুগামীদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ নিয়ে পরামর্শ করতে দিল্লিতে ব্যস্ত পাইলট।