বয়স দেড় হাজার বছর। ঐতিহ্যশালী জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্ক সরকার। জানা গিয়েছে বাইজান্টাইনের আমলে হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘর তৈরি হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ এই জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তরিত করার আবেদন করে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত আদালত আবেদনকারীদের পক্ষে রায় দিয়েছে।
মে মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান আদালতের রায়ের পরোয়া না করেই তিনি সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার ঘোষণা করেন। মাস দুয়েক আগে থেকেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস ও রাশিয়াতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে। ১৫ জুলাই থেকে ওই জাদুঘরে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, ষষ্ঠ শতাব্দিতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান এই জাদুঘর নির্মাণ করিয়েছিলেন। ওই সময় হাজিয়া সোফিয়া ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা। এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে যায়। তখন ওই গির্জাকে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯৩৪ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতন হয়। মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক সই করা এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছিল।




























































































































