সফিকুলদের গ্রেফতারের প্রতিবাদ বিশিষ্টজনদের, শুরু আইনি লড়াই

0
1

সাংবাদিকের সস্ত্রীক গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় এরা সড়ক বিশিষ্টজনেরা আরামবাগ টিভি ইউটিউব চ্যানেলের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী আলিমা খাতুন ও আরেক সাংবাদিক সুরজ আলি খানকে গ্রেফতার করা হয় এবার তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি তুললেন সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থেকে প্রাক্তন উপাচার্যরা, বর্ষীয়ান চিত্রপরিচালক, অভিনেতা-অভিনেত্রী এমনকী এক সময়ে ‘রাজরোষের’ শিকার হওয়া ব্যক্তিরাও। তালিকায় আছেন অশোক গঙ্গোপাধ্যায়, শুভঙ্কর চক্রবর্তী, পবিত্র সরকার, অশোকনাথ বসু, সব্যসাচী চক্রবর্তী, অপর্ণা সেন, কৌশিক সেন, তরুণ মজুমদার, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, অম্বিকেশ মহাপাত্র-সহ বিদ্বজ্জনরা সফিকুলদের পুলিশ হেফাজত থেকে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এক বার্তায় তাঁরা লিখেছেন, “চুরি, ডাকাতি, ধর্ষণ বা খুনের মতো কোনও অভিযোগ নয়, শুধুমাত্র সরকারের কাজের সমালোচনামূলক সংবাদ পরিবেশনের জন্য যেভাবে বাড়ি ঘিরে, দরজা ভেঙে, শিশু সন্তানসহ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়, তা সংবিধান ও গণতন্ত্রের পক্ষে শঙ্কার।”
এপ্রিল মাসে সফিকুলের ইউটিউব চ্যানেলে একটি খবরে দেখানো হয়, লকডাউনের মধ্যেও থানা থেকে ক্লাবগুলিকে চেক বিলি করা হচ্ছে। প্রথমে অস্বীকার করলেও, পরে মেনে নেয় চেক বিলি হয়েছিল। সফিকুল অভিযোগ করেন, এই সংবাদ প্রচারিত হওয়ার পরে পুলিশ তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করছে। কোথা থেকে তিনি ভিডিও ফুটেজ পেলেন? তালিকা কোথা থেকে বেরিয়েছে? সেটা জানানোর জন্য তাঁকে তোমার একটা চাপ দেওয়া হচ্ছে। সফিকুলের দাবি, তালিকায় যে ক্লাবগুলির নাম ছিল তার অধিকাংশরই কোন অস্তিত্ব নেই।
২৯ জুন সফিকুল ইসলাম ও আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরজের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের হয়। গাছ কাটা নিয়ে এক ব্যক্তিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয় তাঁদের বিরুদ্ধে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আরামবাগ টিভির বিভিন্ন খবরের জেরে প্রশাসনের উপর মহলে তোলপাড় হয়। সেই জন্যই জেলে পাঠানো হয়েছে সফিকুলদের। ইতিমধ্যেই তাঁদের মুক্তির জন্য আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁর আইনজীবীরা।