২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে ফৌজদারি তদন্ত শুরু শ্রীলঙ্কা সরকারের

0
2

এবার বিতর্ক বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে। ৯ বছর আগের বিশ্বকাপ জয় নিয়ে নতুন করে সূচনা হয়েছে বিতর্কের। ভারত-শ্রীলঙ্কার ওই ম্যাচ নিয়ে এর আগেও অনেক সাবেক ক্রিকেটাররা সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। এবার মিডিয়ার সামনে সাবেক শ্রীলঙ্কান ক্রীড়ামন্ত্রীর ভারতের ওই বিশ্বকাপ জয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় নতুন করে বিতর্কের সূচনা হয়েছে। ঘটনা এতদূর গড়িয়েছে যে, ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা সরকারের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রকের সচিব কেডিএস রণচন্দ্র জানিয়েছেন, সরকারের তরফে ওই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে ফৌজদারি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কা সরকারের গোয়েন্দা বিভাগের যে শাখা খেলাধূলা সংক্রান্ত অনিয়মের তদন্ত করে তাদের এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই অভিযোগের তদন্তে একটি দল গঠন করা হয়েছে। ওই দলে থাকা অফিসাররা মঙ্গলবার জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন কিংবদন্তি ক্রিকেটার অরবিন্দ ডি সিলভাকে। কারণ তিনি ছিলেন ২০১১-এর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার দলের প্রধান নির্বাচক।
এর আগে শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অর্জুনা রানাতুঙ্গা ফাইনাল ম্যাচটি নিয়ে ফিক্সিংয়ের সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। নতুন করে দেশটির সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী মহিন্দানন্দ আলুথগামাগে একই অভিযোগ তুলে বলেছেন, ২০১১ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল ফিক্সিং ছিল। এটা হয়েছিল যখন আমি ক্রীড়ামন্ত্রী ছিলাম। আমি দায়িত্বের সঙ্গে বলছি; তবে দেশের স্বার্থে বিস্তারিত জানাচ্ছি না। ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ, যেটা আমরা জিততে পারতাম আগে থেকেই সেটা ঠিক করে রাখা ছিল।
কিন্তু মহিন্দানন্দ আলুথগামাগের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছেন সেই বিশ্বকাপ দলের দুই সদস্য কুমার সাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে। তারা এর প্রমাণ চেয়েছেন। জয়াবর্ধনে তো এটাকে মন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচার হিসেবেও উল্লেখ করেছেন।
ভারতের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ জয় এসেছিল অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে। ওই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য মুত্তিয়া মুরালিধরন সেই ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিং করার পক্ষে ছিলেন না। ধোনি বেঁকে বসায় টস হয়েছিল দু’বার। দু’বারই জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এমন নানা রহস্যময় ঘটনা জড়িয়ে আছে ২০১১ বিশ্বকাপের ফাইনালে। এখন দেখার বিষয়, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসে কিনা!